

দেশের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের বিচারক জয়িতা মণ্ডল তাঁর সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সংরক্ষণের ভিত্তিতে অবিলম্বে পুলিশ বাহিনী এবং রেলওয়ের মতো বিভাগে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের যুক্ত করা প্রয়োজন। ফলে একদিকে যেমন তাঁদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসবে, পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জীবনে অগ্রগতিতে সহায়তা করবে।
বিচারকের মতে, ভারতের মত দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ্রয় কেন্দ্রের প্রয়োজন। সরকারের উচিত এই বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা। গত শুক্রবার 'লিট চক' নামের একটি সাহিত্য-সংস্কৃতি উৎসবে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সামনে বিচারক মণ্ডল বলেন, "তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়কে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার যদি চাকরি না থাকে, তাহলে আমাকে কে খাওয়াবে?"
বিচারক জয়িতা মণ্ডল ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরের লোক আদালতে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। দেশের মধ্যে তিনিই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের বিচারক। তাঁর মতে, সরকারের উচিত তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের মানুষরা প্রতিনিয়ত যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হচ্ছেন সেদিকে সংবেদনশীল হওয়া।
২০১৮ সালের শুরুর দিকে, ট্রান্সজেন্ডার কর্মী বিদ্যা কাম্বলে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি লোক আদালতে বিচারক নিযুক্ত হয়েছিলেন। এরপর দেশের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের বিচারক হন গুয়াহাটির বাসিন্দা স্বাতী বিধান বড়ুয়া।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের তরফে বোম্বে হাইকোর্টে জানানো হয়, এখন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য মান নির্ধারণের নিয়ম তৈরি করবে সরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন