WEF বিশ্ব লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে ২৮ ধাপ নামলো ভারত, ১৫৬ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪০
ছবি ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সৌজন্যে

WEF বিশ্ব লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে ২৮ ধাপ নামলো ভারত, ১৫৬ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪০

২০২০ সালে এই সূচকে ভারতের স্থান ছিলো ১১২। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনেতিক অবস্থা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন — এই চার মূল ক্ষেত্র সহ মোট ১৪টি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতায় অগ্রগতির ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এই সূচক।
Published on

লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে আরও ২৮ ধাপ নেমে গেল ভারত। বিশ্বের ১৫৬টি দেশের মধ্যে করা এই সূচকে ভারতের স্থান এবার দাঁড়িয়েছে ১৪০। ২০২০ সালের লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে ১৫৩টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিলো ১১২। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনেতিক অবস্থা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন — এই চার মূল ক্ষেত্র সহ মোট ১৪টি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতায় অগ্রগতির ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এই সূচক।

এবারের তালিকায় শীর্ষস্থান পেয়েছে আইসল্যান্ড। গত ১২ বছর ধরে যারা শীর্ষে আছে। এছাড়াও প্রথম ১০ দেশের মধ্যে আছে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, রোয়ান্ডা, সুইডেন, আয়ারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ৬৫, নেপালের ১০৬, শ্রীলঙ্কার ১১৬, ভুটানের ১৩০, পাকিস্তানের ১৫৩ এবং আফগানিস্তানের ১৫৬।

ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২১ অনুসারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নীচের দিক থেকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভারত। ভারতের নীচে আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ওই রিপোর্ট অনুসারে ভারতে লিঙ্গ বৈষম্যের হার ৬২.৫%।

সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে বিগত সময়ে দেশের শ্রম ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বিগত সময়ের ২৪.৮ শতাংশ থেকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২২.৩ শতাংশে। দেশে মাত্র ৮.৯ সংস্থায় মহিলারা উচ্চপদে আছেন। প্রফেশনাল এবং টেকনিক্যাল ক্ষেত্রে এই অংশগ্রহণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯.২ শতাংশ। সিনিয়ন ম্যানেজারিয়াল পোস্টের ক্ষেত্রেও মহিলাদের অংশগ্রহণের হার মাত্র ১৪.৬ শতাংশ।

সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে এই বছরেই এখনও পর্যন্ত ভারতে লিঙ্গ বৈষম্য বেড়েছে ৩ শতাংশ। যার মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। প্রসঙ্গত গত ২০১৯ সালে ভারতে মহিলা মন্ত্রীর শতকরা হার ছিলো ২৩.১ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ১৩.৫ শতাংশ কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৯.১ শতাংশে।

সমীক্ষা অনুসারে ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের রোজগার ২০.৭ শতাংশ কম। যেখানে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে এই হার ১৬ শতাংশ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in