GHI: বিশ্ব ক্ষুধা সূচক 'বাস্তবতা বিহীন', 'গুরুতর পদ্ধতিগত ত্রুটিযুক্ত' - বিবৃতি ভারতের

আইরিশ সাহায্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২১ ভারতকে ১১৬ টি দেশের মধ্যে ১০১ তম স্থানে রেখেছে এবং ভারতে ক্ষুধার মাত্রাকে "উদ্বেগজনক" বলে উল্লেখ করেছে।
ছবি- প্রতীকী
ছবি- প্রতীকী ছবি সংগৃহীত

বিশ্ব খাদ্য সূচক নিয়ে প্রতিবাদ জানালো ভারত। শুক্রবার নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের প্রকাশিত গ্লোবাল হাঙ্গার রিপোর্ট ২০২১ -এর সমালোচনা করে, এটিকে "বাস্তবতা বিহীন" এবং "গুরুতর পদ্ধতিগত সমস্যা" বলে অভিহিত করেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে "এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে গ্লোবাল হাঙ্গার রিপোর্ট ২০২১ অপুষ্টিজনিত জনসংখ্যার অনুপাতে FAO-এর অনুমানের ভিত্তিতে ভারতের স্থান নীচের দিকে নামিয়েছে। যা বাস্তব বর্জিত ও তথ্যবিহীন এবং গুরুতর পদ্ধতিগত সমস্যায় যুক্ত। কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের প্রকাশনা সংস্থা গ্লোবাল হাঙ্গার রিপোর্ট প্রকাশের আগে যথাযথ কাজ করেনি।”

আইরিশ সাহায্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২১ ভারতকে ১১৬ টি দেশের মধ্যে ১০১ তম স্থানে রেখেছে এবং ভারতে ক্ষুধার মাত্রাকে "উদ্বেগজনক" বলে উল্লেখ করেছে। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নেপাল ভারতের চেয়ে ভালো ফল করেছে। ২০২০ সালে, ১০৭ টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল ৯৪ তম।

মন্ত্রকের বক্তব্য অনুসারে, "এফএও কর্তৃক ব্যবহৃত পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক। তারা তাদের সমীক্ষার 'চারটি-প্রশ্ন' জনমত সমীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে। যা গ্যালপ দ্বারা টেলিফোনিকভাবে পরিচালিত হয়েছিল। এই সময়কালে মাথাপিছু খাদ্যশস্যের প্রাপ্যতার মতো অপুষ্টির পরিমাপের কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নেই। অপুষ্টির বৈজ্ঞানিক পরিমাপের জন্য ওজন ও উচ্চতা পরিমাপের প্রয়োজন হয়, যেখানে এই সমীক্ষা গ্যালাপ পোল ভিত্তিক, যা জনসংখ্যার টেলিফোনিক অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়েছে।"

মন্ত্রকের বক্তব্য অনুসারে, "কোভিড সময়কালে সমগ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। অথচ এই বিষয়ে যাচাইযোগ্য তথ্য সহজেই পাওয়া যায়। জনমত সমীক্ষায় উত্তরদাতা সরকার বা অন্য কোথাও থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়েছে কিনা সে বিষয়ে একটিও প্রশ্ন নেই। এমনকি এই জনমত সমীক্ষায় ভারত এবং অন্যান্য দেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারীরাও সন্দেহজনক।

মন্ত্রক জানিয়েছে, এটা আশ্চর্যজনক যে এই অঞ্চলের আরও চারটি দেশ, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা কোভিডের কারণে চাকরি/ব্যবসার ক্ষেত্রে সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং আয়ের মাত্রাও নাকি প্রভাবিত হয়নি। বরং, তারা ২০১৭-১৯ এর অনুপাতে ২০১৮-২০ সময়কালে যথাক্রমে ৪.৩ শতাংশ, ৩.৩ শতাংশ, ১.৩ শতাংশ এবং ০.৮ শতাংশ পয়েন্ট দ্বারা 'অপুষ্টির জনসংখ্যার অনুপাতে' তাদের অবস্থান উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে।

- with Agency Input

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in