সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনার পর আন্দোলনস্থলে বেশ কিছু খাবারের স্টল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্ঘু সীমান্তে পুনরায় লঙ্গর ব্যবস্থা চালু করতে পঞ্জাব থেকে বহু মহিলা চাষি প্রতিবাদস্থলে এসে চাঁদা তুলতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারই শতাধিক মহিলা জলন্ধর থেকে প্রতিবাদস্থলে হাজির হয়ে জানান, সংসদে নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শোনার পর তাঁরা এই আন্দোলন বাঁচিয়ে রাখার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যেতে চান।
৪৫ বছরের গম চাষি মালকিত কউর সোমবারই ট্রাকে করে ৩০ জন আরও মহিলা চাষির সঙ্গে মিলে প্রতিবাদস্থলে এসে হাজির হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২ মাস ধরে তাঁর স্বামী সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন তিনি গ্রামে ফিরে গিয়ে চাষবাস করতে চাইছেন। তাই এবার তাঁর জায়গায় মালকিত এসে আন্দোলনে সামিল হতে চান। প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিতে চান, তাঁরাও আন্দোলনে সামিল আছেন। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করছেন, ততক্ষণ আমরা এখানে থাকতে চাই। আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। লঙ্গরের জন্য ৫০ কুইণ্টাল আটা জোগাড় করা হবে। প্রত্যেক লঙ্গরের জন্য ২ কুইণ্টাল করে আটা দেওয়া হয়েছে। পরের সপ্তাহে আমাদের পরিবার আরও আটা নিয়ে আসবে।'
শুধু আটাই নয়, গ্রামে গিয়ে অন্যান্য চাষিদের কাছ থেকে সবজিও নিয়ে আসার কথা বলে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। জসবিন্দর কউর (৫০) নামের আরেক মহিলা চাষি জানিয়েছেন, 'আমি আমার ছেলে ও স্বামীকে গ্রামে পাঠিয়েছি সেখানকার চাষিদের বোঝানোর জন্য। যাতে তারা এখানে এসে দান করেন।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।