রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যাঁরা যাঁরা টাকা দিচ্ছেন না, তাঁদের বাড়ি চিহ্নিত করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস। চাঞ্চল্যকর এই মন্তব্য করলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তাঁর আরও অভিযোগ, দেশে এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যেকোনো মুহূর্তে যা ইচ্ছে ঘটতে পারে। দেশে 'অঘোষিত জরুরি অবস্থার' সৃষ্টি হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই কারো।
যদিও আরএসএস এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এইধরনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
নিজের ট্যুইটারে কুমারস্বামী লেখেন, "রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যাঁরা অর্থ দিয়েছেন এবং যাঁরা দেননি তাঁদের বাড়ি পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করে রেখেছেন অনুদান সংগ্রহকারীরা। হিটলারের শাসনকালে জার্মানিতে যখন লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন, তখন নাৎসিরা যা করেছিলেন, তার অনুরূপ করা হচ্ছে এখানে।"
এরপরের ট্যুইটে তিনি লেখেন, "দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যেখানে কেউ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছেন না। আগামী দিনে মিডিয়াগুলো যদি সরকারের মতামতকে সমর্থন করে, তাহলে কী হবে আমি জানিনা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কী হবে, তা অনুমান করা কঠিন। বর্তমান প্রবণতা থেকে স্পষ্ট দেশে যেকোনো মুহূর্তে যা কিছু ঘটতে পারে।"
ইতিহাসবিদদের মতামত উল্লেখ করে জেডিএস নেতার দাবি, জার্মানিতে নাৎসি পার্টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার সাথে সাথেই ভারতে আরএসএসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, "আরএসএস নাৎসিদের দ্বারা গৃহীত একই নীতিমালা বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। দেশে এখন মানুষের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।"
আরএসএসের মিডিয়া ইনচার্জ ই এস প্রদীপ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "কুমারস্বামীর মন্তব্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়ার যোগ্য নয়।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।