Gujarat: স্কুলের ছাত্রদের শীতের পোষাক নেই - সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন করে উদ্বেগে শিক্ষক

তাঁর আবেদনে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, "সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৮৪ জন শিক্ষার্থী এতটাই দরিদ্র যে তাদের ঠান্ডা শীত থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের গরম পোষাক নেই।"
শিক্ষকের আবেদন
শিক্ষকের আবেদন ছবি - আইএএনএস ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে

গুজরাটের নর্মদা জেলার এক প্রাথমিক শিক্ষক দরিদ্র উপজাতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য গরম পোষাক দান করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

তাঁর আবেদনে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, "সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৮৪ জন শিক্ষার্থী এতটাই দরিদ্র যে তাদের ঠান্ডা শীত থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের গরম পোষাক নেই।"

দেদিয়াপাদা তালুকার চোপদি গ্রামের দুই স্কুল শিক্ষকের একজন ভিনুভাই গুজারিয়া আইএএনএসকে জানিয়েছেন, "কয়েক মাস আগে আমাকে এই স্কুলে বদলি করা হয়। এখানে ক্লাস ১ থেকে ৮ পর্যন্ত ৮৪ জন ছাত্র আছে। সব ছাত্রই খুব দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে এবং তাদের কারোর কাছেই শীতের পোষাক নেই। তাই আমি গুজরাটের মানুষের কাছে কাপড় দান করার জন্য এই আবেদন করেছি।"

এই আবেদন করার পাশপাশি গুজারিয়া বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্নও ছিলেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের আবেদন করার জন্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে বা ওই স্কুলের দ্বিতীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই আবেদনের অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। শুধুমাত্র শীতের হাত থেকে শিশুদের রক্ষার জন্যই তিনি এই আবেদন করেছেন।

আইএএনএস জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জয়েশ প্যাটেলের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারী প্রকল্পের অধীনে, প্রতিটি শিক্ষাবর্ষের জন্য, শিক্ষার্থীদের একজোড়া ইউনিফর্ম প্রদান করা হয় যার জন্য অর্থ বাচ্চাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্থানান্তর করা হয়।

প্যাটেল বলেন, "অন্য কোনো প্রকল্প নেই যার অধীনে শিশুদের পশমী কাপড় সরবরাহ করা যেতে পারে, কিন্তু তবুও তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার চেষ্টা করবেন"।

স্কুল শিক্ষক বলেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট শিশুদের বাবা-মায়ের নামে রয়েছে। গুজারিয়া জানিয়েছেন, "তারা স্কুলের ইউনিফর্মের জন্য দেওয়া টাকা অন্যভাবে ব্যবহার করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে ৮৪ জন ছাত্রের মধ্যে ৫০ শতাংশের কাছে স্কুলের এক জোড়া ইউনিফর্ম ছাড়া শুধুমাত্র এক জোড়া কাপড় আছে।"

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in