Goa: বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বন্দ্ব BJP-র চিন্তার কারণ

গত মাসে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সি টি রবি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। এঁদের অনেকেই মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি এবং কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছেন এবং এঁরা সকলেই বিজেপির মনোনয়নের দাবিদার।
Goa: বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বন্দ্ব BJP-র চিন্তার কারণ
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

নির্বাচনের আর ৬ মাসও বাকি নেই। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতিও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। যদিও আসন্ন গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বড়ো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বন্দ্ব।

গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বি এল সন্তোষ এবং সি টি রবিকে। তাঁরা ইতিমধ্যেই দলের নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাওয়া বোঝার চেষ্টা করছেন। যদিও বিধানসভার আসনের অনুপাতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় বিজেপি।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারেশকর, প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী রমেশ তাওয়াদকর এবং সিদ্ধার্থ কুনসালিনকর। এছাড়াও আরও অনেক প্রত্যাশী বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বারণ না শুনেই মনোনয়নের জন্য তদ্বির করতে শুরু করে দিয়েছেন।

গত মাসে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সি টি রবি রাজ্যের বর্তমান বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে একান্ত বৈঠক করেন। এঁদের অনেকেই মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি এবং কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির মনোনয়নের দাবিদার।

এছাড়াও বিজেপির ঘরের লোক লক্ষ্মীকান্ত পারেশকর প্রকাশ্যেই বি এল সন্তোষকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর গোয়ার মান্দ্রেম আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে ওই আসনে গত নির্বাচনে পারেশকরকে হারিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা দয়ানন্দ সোপতে। যিনি পরে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনিও মান্দ্রেম আসন থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক। নিজের আসন ছাড়তে রাজী নন তিনি।

একইভাবে কানাকোনা আসনে প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী তাওয়াদকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। যে আসনে ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে ইশিডোর ফারনান্ডেজ ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ইশিডোর নিজের জমি ছাড়তে রাজী নন একেবারেই।

পানাজী কেন্দ্রের অবস্থাও একইরকম। যেখান থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে পরে বিজেপিতে যোগ দেন আটানসিও মনসেরাট্টে। অন্যদিকে এই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান গত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ কুনসালিনকর। যে আসন ছাড়তে রাজী নন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আটানসিও।

প্রার্থীপদের দাবিদারদের মধ্যে বিতর্ক ক্রমশই বাড়ছে। যে প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সদানন্দ শেঠ তানাভাদে জানিয়েছেন – প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা আছে প্রার্থী হবার ইচ্ছা প্রকাশ করার। কিন্তু এইভাবে দাবি পেশ করা সংগত নয়।

উল্লেখ্য বিগত সময়ে কমপক্ষে ১৩ জন কংগ্রেস এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যাদের এবার মনোনয়ন দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে সকলকে তুষ্ট করে আসন কীভাবে বন্টন করা হবে তা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস। ৪০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় কংগ্রেস সেবার পেয়েছিলো ১৭ আসন। বিজেপি পায় ১৩ আসন। এনসিপি ১, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ৩, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি ৩ এবং ৩ জন নির্দল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেসকে সরিয়ে গোয়ায় সরকার গড়ে বিজেপি। গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি এবং দুই নির্দলের সহযোগিতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছে যায় বিজেপি। কংগ্রেসকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মনোহর পাররিকর। এরপর গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসে কংগ্রেসে ভাঙন ধরে এবং কংগ্রেসের ১০ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন।

- with IANS input

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in