কলকাতার পূর্ব দিককে জোড়ার কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। কিন্তু এই মেট্রোর কাজ আটকেই রয়েছে নানা আইনি জটে। এখন এই প্রকল্প গন্তব্য বদলে জোকা-ধর্মতলা হয়েছে। কিন্তু একাধিক আইনি জটিলতায় থমকে এই মেট্রোর কাজ। ২০০৫ সালেই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল ময়দান এলাকায় মাটির উপরে কিংবা নীচে কোনও নির্মাণ কাজ কিংবা সুড়ঙ্গ খোড়া যাবে না। মাটির উপরের গাছ কাটা যাবে না।
কিন্তু জোকা-ধর্মতলা এই মেট্রো প্রকল্প করতে গেলে সেই নিয়ম লঙ্ঘন করতেই হবে। তাই আগেভাগেই পরিবেশ কর্মীদের মামলা রয়েছে। এরই সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রের নিজস্ব দুই দফতরের টালবাহানা। ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভা, পূর্ত দফতর, পরিবেশ দফতর ও পুলিশের এনওসি দেওয়া হয় রেলকে। সেইমতো জোকার দিক দিয়ে কাজ করে নানা আইনি বাধা টপকে আপাতত মোমিনপুরে থেমে রয়েছে এই মেট্রো প্রকল্প।
অন্যদিকে খিদিরপুর থেকে ধর্মতলার কাজও আপাতত থমকে রয়েছে। ২০১৬ সালে এই এলাকা মূলত ময়দান সংলগ্ন এলাকায় ছাড়পত্র চেয়ে রেলওয়ে বিকাশ নিগমের তরফে আর্জি জানানো হয় সেনাবাহিনীকে। কিন্তু সেনার তরফে জানানো হয় ২০০৫ সালের আদালতের রায়ের পরিবর্তন না হলে কোনওমতেই তাঁদের পক্ষে ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব নয়। সহমত পোষণ করেন পরিবেশবিদরা।
সূত্রের খবর, রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড হাইকোর্টে নির্দিষ্ট এই রুটের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসে একটি রুটম্যাপ দেবে। সেনাবাহিনী আদালতকে স্পষ্ট জানিয়েছে তাঁদের রায় বদলাতে হবে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হবে না, কারণ বেঁকে বসে আছেন পরিবেশ কর্মীরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।