লখনউ-র কিষাণ মহাপঞ্চায়েত থেকে আরও একবার নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা ঘোষণা করলো আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠন। সোমবার লখনউতে কিষান মহা পঞ্চায়েত থেকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা ছয় দফা দাবি প্রসঙ্গে তাদের অনড় মনোভাবের কথা ঘোষণা করা হয়।
কৃষক আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এদিন জানায়, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির বরখাস্ত সহ তাদের দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।
সোমবারের মহাপঞ্চায়েতে বিভিন্ন রাজ্যের হাজার হাজার কৃষককে সম্বোধন করে বিকেইউ-এর মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেন, "আমাদের সমস্ত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের 'আন্দোলন' শেষ হবে না। আমরা সারা দেশে এই ধরণের পঞ্চায়েত করব। যারা মনে করছেন যে আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে, তারা দুঃখজনকভাবে ভুল করছেন।" তিনি আরও জানান, আমাদের মূল দাবি ছিলো এমএসপি-র গ্যারান্টি।
এদিন রাকেশ টিকায়েত বলেন, "আমরা ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) যা C2+50 শতাংশ (অর্থাৎ উৎপাদন খরচের 50 শতাংশ বেশি) ফর্মুলার উপর ভিত্তি করে সব ফসল এবং সমস্ত কৃষকের জন্য একটি আইনি অধিকার হিসাবে তৈরি করতে চাই৷ আমাদের চিঠিতে, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছি তাঁর সভাপতিত্বে একটি কমিটি ছিল, যে কমিটি ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে এই সুপারিশ করে এবং সরকার পরে সংসদেও এই ঘোষণা করে।”
এদিনের মহাপঞ্চায়েতে লখিমপুর খেরি থেকে বিপুল সংখ্যক কৃষক যোগ দিয়েছিলেন। গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে চারজন কৃষককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের একটি এসইউভি গাড়ি পিষে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এদিনের মহাপঞ্চায়েতে লখিমপুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তোলা হয়। কৃষকদের পক্ষ থেকে মামলায় অভিযুক্ত মন্ত্রীকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এই ঘটনায় মন্ত্রীপুত্র আশিস মিশ্র বর্তমানে জেলে আছেন।
এদিন টিকাইত বলেন, শোনা যাচ্ছে সরকার দুগ্ধ উন্নয়নের বিষয়ে একটি নতুন নীতি আনতে চলেছে। কৃষকদের দাবি সরকার এই বিষয়ে তাদের সাথে পরামর্শ করুক। এদিন কৃষক নেতৃত্ব জানিয়েছেন, কৃষকদের পরবর্তী সভা ২৬ নভেম্বর দিল্লি সীমান্তে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিনের মহাপঞ্চায়েত থেকে কৃষক আন্দোলনের সময় প্রাণ হারানো কৃষকদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধের জন্য সিঙ্ঘু সীমান্তে জমি দাবি করা হয়। মৃত কৃষকদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন টিকায়েত।
এছাড়াও অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে আছে পাওয়ার রেগুলেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল প্রত্যাহার, দিল্লি সীমান্ত আন্দোলন এবং খড় পোড়ানো সংক্রান্ত সমস্ত মামলা প্রত্যাহার।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি খোলা চিঠিতে ছয়টি শর্ত দিয়েছে। সরকার কৃষকদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও মোর্চা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
- with Agency Inputs
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।