প্রত্যেক ঘণ্টায় জমিহীন হচ্ছেন ১০০ জন কৃষক

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে ও ২০০১ সালের এক হিসাব অনুসারে, কৃষিজমির মালিক ছিলেন ১২৭.৩ মিলিয়ন। ২০১১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১১৮.৭ মিলিয়নে। অর্থাৎ এই ১০ বছরে জমির মালিকানাধীন কৃষকের পরিমাণ কমেছে ৮৬ লাখ।
প্রত্যেক ঘণ্টায় জমিহীন হচ্ছেন ১০০ জন কৃষক
ছবি প্রতীকী
Published on

যত সময় যাচ্ছে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। মূলত মাঝারি ও ক্ষুদ্র চাষিরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন কৃষি আইনের ফলে এইসব কৃষকদের রক্ষা করা তো দূর, প্রতিক্ষণে কৃষকদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশে প্রত্যেক ঘণ্টায় প্রায় ১০০ জন ক্ষুদ্র চাষি জমিহীন হয়ে পড়ছেন।

এইসব কৃষকদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে হলে কৃষি আইনের অবিলম্বে পরিবর্তন দরকার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে ও ২০০১ সালের একটি হিসাব অনুসারে, কৃষিজমির মালিক ছিলেন ১২৭.৩ মিলিয়ন। ২০১১ সালে তা কমে ১১৮.৭ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এই ১০ বছরে জমির মালিকানাধীন কৃষকের পরিমাণ কমেছে ৮৬ লাখ। অন্যদিকে, জমিহারা কৃষকের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০১ সালে জমিহীন কৃষকের সংখ্যা ছিল ১০.৬৭ কোটি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে জমিহীন কৃষকের সংখ্যা বে ড়ে হয়েছে ১৪.৪৩ কোটি। ২০১৬ সালে তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয় এই হিসাব রাজ্যসভায় লিখিত আকারে জমা করেছিলেন। এরপরেও বহু কৃষক ও কারিগর জমিহারাদের তাইকায় সামিল হয়েছেন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমিহীন কৃষকের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই জমিহীন কৃষি শ্রমিকের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এক দশকের মধ্যে প্রায় ৮৬ লাখ জমিহীন কৃষি শ্রমিকের সৃষ্টি হয়েছে। এর মানে, প্রত্যেক বছর প্রায় ৮.৬ লাখ কৃষক নিজেদের কৃষি জমি হারাচ্ছেন। যা মাসে ৭২ হাজারের কাছাকাছি আর দিনে ২ হাজার ৪০০ জনের সমান। এর থেকেই হিসেব স্পষ্ট যে, প্রত্যেক ১ ঘণ্টায় ১০০ জন কৃষক জমিহীন হয়ে পড়ছেন।

২০২১ সালেজ জনগণনা সামনে আসলে একইভাবে ১৯৯১ থেকে ২০১১ সালের মতো তুলনা টেনে আনা হবে। আর এই সময়ের হিসাব যে আগের থেকে আরও উদ্বেগজনক হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেভাবে জিসিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে ও ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে ছোট ও মাঝারি কৃষকরাই যে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী হবেন তা এতদিনে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in