

মহামারীতে সাধারণ মানুষের রোজগার কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। কিন্তু মোদি সরকারের সহযোগিতায় আদানি গোষ্ঠীর দৈনিক রোজগার ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনের সম্পদ বেড়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি। এইচএফএল ওয়েলথ হুরুন ইন্ডিয়া প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। রিপোর্টে প্রকাশিত সর্বোচ্চ ১০ ধনী ব্যক্তির তালিকা পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, গৌতম আদানি গোষ্ঠীর পরিবারের দৈনিক আয় বেড়েছে ১০০২ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, আদানিরা হল এমন এক গোষ্ঠী, যারা এমন পাঁচটি কর্পোরেট সংস্থার মালিক, যাদের মূলধনের পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকার উপর। আদানিরা ধনীতমদের তালিকায় চলে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। কর্পোরেট মুকেশ আম্বানি পরিবারের দৈনিক সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ১৬৩ কোটি টাকা। শিব নাদারের পরিবারের ২৬০ কোটি টাকা, এসপি হিন্দুজা পরিবারের ২০৯ কোটি টাকা, এলএন মিত্তাল পরিবারে ২১২ কোটি টাকা, সিরাম ইনস্টিটিউটের মালিক সাইরাস পুনাওয়ালার ১৯০ কোটি টাকা।
গত ১০ বছর ধরে প্রথম স্থানে আছে মুকেশ আম্বানি গোষ্ঠী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আদানি গোষ্ঠী। মন্দা-মহামারীর মধ্যেও কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করার জন্যই তাদের এই সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে বলে সমীক্ষাকারী সংস্থা মনে করছে। এছাড়াও কর্পোরেটদের বকেয়া কর মকুব, অনাদায়ী ঋণ মকুব করে তোফা দেওয়ার খেলাও চলছে।
মহামারী আগে দেশে ১০০ কোটি টাকার উপর সম্পদের মালিকের সংখ্যা ছিল ৫৮ জন। কিন্তু মহামারীতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন