
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আসার সময় যত এগিয়ে আসছে ততই তৎপরতা বাড়ছে প্রশাসনিক স্তরে। উপগ্রহ চিত্রর ভিত্তিতে শেষ পাওয়া খবর অনুসারে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় যশ প্রাথমিক স্তরে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করেছে। জানা গেছে বর্তমানে পোর্টব্লেয়ায়ের উত্তর উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে, পারাদীপের পূর্ব দক্ষিণ পূর্বে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে মহাবালেশ্বর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দূরে এবং কলকাতা থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে যশ। দীঘা থেকে দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্ব থেকে যশের দূরত্ব ৬৭০ কিলোমিটারের কাছাকাছি।
আবহাওয়াবিদদের সতর্কতা অনুসারে যশ শক্তি সঞ্চয় করে অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। যা গতবছরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফানের থেকেও বেশি।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আগামী বুধবার ২৬ মে সকাল থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করবে যশ। আগামীকাল সোমবার ২৪ মে সকাল থেকেই একটু একটু করে শক্তি বাড়াতে শুরু করবে যশ এবং ধীরে ধীরে তা গভীর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। কাল থেকেই যশের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হবার সম্ভাবনা। ২৬মে বুধবার সন্ধ্যেবেলা এই ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা উপকূলে। তার আগে মঙ্গলবার থেকেই ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হবার সম্ভাবনা। তবে ঠিক কোন অঞ্চলের ওপর এই ঝড় আছড়ে পড়বে তা এখনও বলা যাচ্ছেনা। যদিও কলকাতা সহ সংলগ্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই ঝড় বৃষ্টি হতে পারে।
যশের কারণে আজ সন্ধ্যে থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অঞ্চলে হাইভোল্টেজ তারের কাছাকাছি যে সব বড়ো বড়ো গাছ ছিলো সেগুলো কাটা হয়েছে। খোলা হচ্ছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা - এই দুই জেলাতেই ঝড়ের প্রভাবে বেশি ক্ষতি হবার আশংকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন