Coal Crisis: ঘৃণার বুলডোজার বন্ধ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করুন - কয়লা সংকটে মন্তব্য রাহুল গান্ধীর

র‍য়টার্স-এর রিপোর্ট অনুসারে ডোমেস্টিক কোল বেসড প্ল্যান্টের জন্য হাতে মজুত আছে ৮ দিনের কয়লা। অন্যদিকে আমদানিকৃত কয়লার ক্ষেত্রে মজুত আছে সাড়ে ৯ দিনের কয়লা।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ছবি সৌজন্য লাইভ মিন্ট

গুরুতর বিদ্যুৎ সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে ভারত। র‍য়টার্স-এর রিপোর্ট অনুসারে ডোমেস্টিক কোল বেসড প্ল্যান্টের জন্য হাতে মজুত আছে ৮ দিনের কয়লা। অন্যদিকে আমদানিকৃত কয়লার ক্ষেত্রে মজুত আছে সাড়ে ৯ দিনের কয়লা। যে কোনও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কমপক্ষে ২৪ দিনের কয়লা মজুত রাখার নিয়ম। যদিও ভরা গ্রীষ্মে দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা তুঙ্গে। গত ৮ এপ্রিল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৯৯.৫৮ গিগা ওয়াট। যা এই আর্থিক বছরের সর্বোচ্চ। এই তারিখেই দেশজুড়ে কয়লা সংকটের কারণে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিলো ৭,০৮৫ মেগাওয়াট।

বুধবার সকালে এক ট্যুইট বার্তায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, “৮ বছরের বড়ো বড়ো আলোচনার ফলে ভারতে মাত্র ৮ দিনের কয়লা মজুদ রয়েছে। মোদীজি, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। বিদ্যুত বিভ্রাট ছোট শিল্পগুলিকে শেষ করবে, যার ফলে কর্মসংস্থান আরও কমবে৷ ঘৃণার বুলডোজার বন্ধ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করুন!”

এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ১০ দিনে দেশে গড় বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৯৫.৪৩ গিগা ওয়াট। অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ফেডারেশন সিএনবিসিকে জানিয়েছে কয়লা সংকটের কারণে দেশের ১২টি রাজ্যে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যেই শেষ কয়েক দিনে দেশে বিদ্যুৎ সংকটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৪ শতাংশ। গত অক্টোবরে কয়লার ঘাটতিতে দেশে বিদ্যুৎ সংকটের হার ছিলো ১.১ শতাংশ।

সিএনবিসি-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের তুলনায় এবছর দেশে কয়লার চাহিদা বেড়েছে ৯ শতাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পাঞ্জাব, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানায় বিদ্যুৎ সংকটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে লোডশেডিং।

ভারতে কয়লার চাহিদা বছরে ১ বিলিয়ন টন। যারমধ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন টন কয়লা ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গতবছরের তুলনায় কয়লার দাম বেড়েছে ৩৫০ গুণ। বিশেষ পরিস্থিতিতে কোল ইন্ডিয়া উৎপাদন বাড়ালেও তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কয়লা সরবরাহের দায়িত্ব সামলায় কয়লা মন্ত্রক, শক্তি মন্ত্রক এবং রেল দপ্তর। এক্ষেত্রে রেলমন্ত্রক দোষী করছে বিভিন্ন খননকারী সংস্থাকে। কয়লা মন্ত্রকের দাবি যথেষ্ট সংখ্যক রেক সরবরাহ করছে না রেল মন্ত্রক।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in