NEET না দিয়েও ভর্তি হওয়া যাবে মেডিক্যালে, ঐতিহাসিক বিল পাশ তামিলনাড়ু বিধানসভায়

একমাত্র বিজেপি ছাড়া বিধানসভায় উপস্থিত আর সমস্ত দল এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। রাজ‍্যের প্রধান বিরোধীদল এআইডিএমকে আগে অন্য বিষয়ে কক্ষত্যাগ করলেও এই বিল পেশের সময় ফিরে এসে সমর্থন জানায়।
মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন
মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনছবি সংগৃহীত
Published on

ন্যাশনাল এন্ট্রান্স কাম এলিজিবিলিটি টেস্ট (NEET) বা নীট না দিয়েও ১২ ক্লাসের পরীক্ষার (ইন্টারমিডিয়েট) ফলের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি হওয়া যাবে। তামিলনাড়ুর বিধানসভায় সোমবার ঐতিহাসিক এই বিল পাশ হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তামিলনাড়ু অ্যাডমিশন টু আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট মেডিক্যল ডিগ্রি কোর্সেস অ্যাক্ট ২০২১ বিলটি বিধানসভায় পেশ করেন এবং ধ্বনিভোটের মাধ‍্যমে তা পাশ হয়।

একমাত্র বিজেপি ছাড়া বিধানসভায় উপস্থিত আর সমস্ত দল এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। রাজ‍্যের প্রধান বিরোধীদল এআইডিএমকে আগে অন্য বিষয়ে কক্ষত্যাগ করলেও এই বিল পেশের সময় ফিরে এসে সমর্থন জানায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা কে পালানিস্বামী জানান তাঁরা এই বিলকে সমর্থন করবেন। তবে ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে কক্ষত্যাগ করে চলে যান বিজেপি বিধায়করা।

স্ট্যালিন জানান তাঁর দল ডিএমকে প্রথম থেকেই নীটের বিরোধিতা করে আসছে। ক্ষমতায় আসার পরে তাঁরা আইনি পথে লড়াই শুরু করেন। মেডিক‍্যালে ভর্তির জন্য দ্বাদশ শ্রেণিরর ফলাফল যাতে বিবেচ্য হয় তার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বিরোধীদের আহ্বান জানান বিলকে সমর্থন করার জন্যে।

সরকারি স্কুলে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৭.৫ শতাংশ সংরক্ষণের সংস্থান রাখা হয়েছে বিলে। বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার চেষ্টা করবে রাজ্য সরকার বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নীটের বিরোধিতায় মুখর ছিল তামিলনাড়ুর ছাত্র সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলি। বিল আনার তোড়জোড় আরও জোরদার হয় যখন শনিবার মেডিক‍্যালে ভর্তি প্রত্যাশী ১৯ বছরের ধনুষকে সালেমে কোলিয়ুর গ্রামে তার নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানায় রবিবার ধনুষের তৃতীয়বারের জন্য নীট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল।

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও এআইডিএমকে সরকারের আমলে একই ধরনের বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছিল। যদিও তাতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in