

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে খুন হলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর হত্যাকারীকে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার জাতীয় শোক পালন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। ভারতের সাথে অতন্ত্য সুসম্পর্ক ছিল শিনজো আবের। নরেন্দ্র মোদীর সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর। দুই নেতার এই সম্পর্ক ভারত-জাপান সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছিল।
২০১৪ সালে দ্বিতীয় UPA সরকারের আমলে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিনজো আবে।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে এসেছিলেন আবে। সেখানে গঙ্গা বক্ষে মোদীর পাশে বসে গঙ্গারতি দেখেন তিনি। এর দু বছর পর ফের ভারতে আসেন আবে। মোদীর রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে গিয়ে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
এক বছর পর ২০১৮ সালে ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মোদী যখন জাপান গিয়েছিলেন, আবে নিজের ব্যক্তিগত হলিডে হোম-এ মোদীর থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন।
২০২১ সালে আবেকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হয়েছিল।
শুধু আবেই নন, তাঁর মাতামহের (মায়ের বাবা) সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ভারতের। ২০০৭ সালে ভারতীয় সংসদের একটি যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় শিনজো আবে জানান, ১৯৫৭ সালে তাঁর মাতামহ তথা জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নোবুসুকে কিশিকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন