

বিহার রাজনীতিতে ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই ক্রমশ অন্য মাত্রা নিচ্ছে। আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের দুই ছেলে তেজস্বী যাদব এবং তেজপ্রতাপ যাদবের লড়াই এবার প্রকাশ্যে। দুই ভাইয়ের বিবাদে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই আক্রমণ শানালেন তেজপ্রতাপ।
এদিন তেজপ্রতাপ বলেন, বিহারে বন্যার সময় তেজস্বী যাদব রাজ্যের মানুষকে ফেলে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে এই অভিযোগ আনা হয়েছিলো এনডিএ-র তরফে।
তেজস্বী যাদব সম্প্রতি দলীয় বিষয় নিয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে আলোচনার জন্য দিল্লি যান। সম্প্রতি দলের রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিং-এর বিরুদ্ধে তেজপ্রতাপের একাধিক মন্তব্যে জল ঘোলা হয়েছে আরজেডি-র অন্দরে। যে ঘটনার জেরে তেজপ্রতাপ নিজের ভাই তেজস্বীকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযোগ করেন, বন্যার সময় তেজস্বী বিহারের মানুষকে ছেড়ে দিল্লি চলে গেছেন। তেজস্বীকে ভুল বোঝাচ্ছে সঞ্জয় যাদব। অথচ তেজস্বী সেই সঞ্জয় যাদবের কথাতেই চলছে। আরজেডি-র সব নেতা এবং সদস্য তাঁর বিষয়ে জানেন।
নিজেকে আরজেডি-র ‘কৃষ্ণ’ বলে দাবি করে তেজপ্রতাপ বলেন, তেজস্বী হল অর্জুন। জগদানন্দ সিং শিশুপাল এবং সঞ্জয় যাদব দুর্যোধন। তেজপ্রতাপ বলেন, যেভাবে মহাভারতে শিশুপাল কৃষ্ণকে অপব্যবহার করেছিলো আমাকেও জগদানন্দ সিং সেভাবে ব্যবহার করছে। মানুষ জানে কীভাবে দুর্যোধন বধ করা হয়েছিলো। কৃষ্ণর পরামর্শে দুর্যোধন বধ হয়েছিলো।
তেজপ্রতাপ আরও বলেন, যদি লালুপ্রসাদ সব দিকে লক্ষ্য রাখছেন তাহলে কেন তিনি কে ঠিক আর কে ভুল বলছেন না। যদি তিনি দল নিয়ে উদ্বেগে থাকেন তাহলে কেন তিনি যারা দোষ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? আমি দিল্লি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবো। এখন যা পরিস্থিতি তাতে লালুপ্রসাদ যাদবকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে গতকাল তেজস্বী বলেন তেজপ্রতাপ তাঁর বড় দাদা। কিন্তু তাঁকেও দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। আমাদের অভিভাবকরা আমাদের বড়দের সম্মান করতে শিখিয়েছেন।
যদিও সূত্রের খবর অনুসারে, তেজপ্রতাপের এই আচরণে খুবই বিরক্ত তেজস্বী যাদব। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, একদিকে তিনি দলের ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন আর তেজপ্রতাপ সেই ভাবমূর্তি টেনে কাদায় নামাচ্ছেন। তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার পক্ষপাতী তেজস্বী যাদব।
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন