

ভীমা কোরেগাঁও মামলায় নতুন একটি ফরেনসিক রিপোর্টে সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভুয়ো তথ্যপ্রমাণ সাজানো হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সমাজকর্মী রোনা উইলসনের ল্যাপটপে কোনও অজানা হ্যাকার ৩০টি তথ্য পাঠিয়ে দেয়। ওয়াশিংটন পোস্টে এই এই চাঞ্চল্যকর ফরেনসিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ভীমা কোরেগাঁও হিংসায় মাওবাদী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া ১৫ জন সমাজকর্মীর মধ্যে রোনা উইলসনও রয়েছেন।
নিউজক্লিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, ম্যাসাচুসেট-এর এক ডিজিটাল ফরেনসিক ফার্ম আর্সেনাল কনসাল্টিং সম্প্রতি এই তথ্যটি প্রকাশ করেছে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, উইলসনের ল্যাপটপে ১০টি চিঠি ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। এই চিঠিগুলোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার পরিকল্পনার কথপোকথন ছিল। এমনকী এই মাধ্যম থেকে ২২ টি নতুন তথ্যও পাওয়া গিয়েছে বলে সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুনে পুলিশের তরফে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় এই মোট ৩২ টি তথ্যই পেশ করা হয়েছে ১৫ জন গ্রেপ্তার হওয়া সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে। এই তথ্যগুলো চার্জশিটেও পেশ করা হয়েছে। এর আগের রিপোর্টটি উইলসনের আইনজীবী মুম্বই আদালতে পেশ করে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। যদিও এই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত আলাদা করে কোনও শুনানি ডাকেনি।
এই নতুন রিপোর্টটির মাধ্যমে ফের একবার 'প্রধানমন্ত্রীর সমালোচকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিতর্ক' মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বলেও ওয়াশিংটন পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশে মতবিরোধিতার জন্য সমাজকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের কী হাল হচ্ছে তা ফের একবার প্রমাণিত বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন