

ভীমা কোরেগাঁও মামলায় জেলবন্দি সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাজানোর জন্য ম্যালওয়্যারের ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি এক মার্কিন ডিজিটাল ফরেনসিক রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, সমাজকর্মী রোনা উইলসনের ল্যাপটপে এই মালওয়্যারের ব্যবহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং হিংসা ছড়ানোর দায়ে ও মাওবাদী যোগসূত্রের দাবিতে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওয়ে মোট ১৫ জন সমাজকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মার্কিন ফরেনসিক ফার্ম 'আরসেনাল কনসালন্টি্ং'-এর তরফে জানানো হয়েছে, মালওয়্যার ব্যবহার করে রোনা উইলসনের ল্যাপটপে প্রবেশ করা হয়েছিল ঠিক তাঁকে গ্রেপ্তারের আগে। ল্যাপটপে কমপক্ষে ১০টি উস্কানিমূলক চিঠিও রেখে দেওয়া হয়েছিল। ভীমা কোরেগাঁও মামলার চার্জশিটে পুণে পুলিশ এই চিঠিগুলোকেই তথ্যপ্রমাণ হিসেবে পেশ করেছিল। গত বছর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর এই মামলাটি পুণে পুলিশের কাছ থেকে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) কাছে হস্তান্তর হয়। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে এই এনআইএ। যার মাথায় আবার রয়েছেন অমিত শাহ।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যে ১০টি চিঠি উইলসনের ল্যাপটপ থেকে পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোতে মাওবাদীদের সঙ্গে বন্দুক ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। এমনকী, মাওবাদীরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে, তাও উল্লেখ ছিল। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, ল্যাপটপের এক লুকনো ফোল্ডারে এই চিঠিগুলো রাখা হয়েছিল। মার্কিন ফরেনসিক রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করার পরই উইলসনের আইনজীবী বম্বে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন বুধবার। যাতে উইলসনের বিরুদ্ধে ওঠা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন