
আসামে কার মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট তুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে ঘোর সংশয়ে বিজেপি। রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং প্রভাবশালী নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা – লড়াই আপাতত এই দু’জনের মধ্যে। এই দুই নেতা শুক্রবার রাতে বিশেষ বিমানে দিল্লি গেছেন। যদিও দু’জনে একই বিমানে দিল্লি না গিয়ে আলাদা আলাদা বিমানে দিল্লি গেছেন। যাতে এই দুই প্রভাবশালী নেতার দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এসেছে। আজই দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠকে বসছেন এই দুই নেতা।
আসামে বিজেপি দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করলেও খুব একটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যের ১২৬ আসনের মধ্যে এনডিএ জোট ৭৫ আসনে জয়ী হলেও বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। বিজেপি জয়ী হয়েছে ৬০ আসনে। জোটসঙ্গী অগপ জয়ী হয়েছে ৯ আসনে এবং ইউপিপিএল ৬ আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য আসামে প্রয়োজন ৬৪ আসন।
সূত্র অনুসারে বিজেপির ৬০ বিধায়কের মধ্যে অন্তত ৪৩ জন হিমন্ত বিশ্বশর্মার অনুগামী। যারা চাইছেন এবার মুখ্যমন্ত্রী করা হোক হিমন্তকেই। বিশ্বশর্মার সঙ্গেই আছেন ৯ অগপ এবং ৬ ইউপিপিএল বিধায়ক। যদিও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সর্বানন্দ সোনোওয়ালকেও অস্বীকার করা সম্ভব হচ্ছে না বিজেপির পক্ষে।
অন্যদিকে মহাজোটের পক্ষে কংগ্রেসের ২৯ এবং এইউডিএফ-এর ১৬ আসনের বিধায়করা গোপনে প্রাক্তন কংগ্রেসি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দলে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সেক্ষেত্রে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অন্তত ২০ বিজেপি বিধায়ক দলে ফিরতে পারেন। যদিও এক্ষেত্রে কংগ্রেস নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীত্ব কার হাতে যায় সেই বিষয়ে আপাতত নজর রাখতে আগ্রহী।
হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে যদি মুখ্যমন্ত্রীত্ব না দেওয়া হয় এবং তিনি বিদ্রোহ করেন সেক্ষেত্রে অনেক হিসেবই উলটে যেতে পারে। এমনকি নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে কোনো আঞ্চলিক দল গঠন করে কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার চালানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন