৭ বছর বয়সে বাল্যবিবাহের শিকার! ১১ বছর পর আদালতের রায়ে সেই বিয়ে থেকে মুক্তি পেলেন কাঞ্চন

১১ বছর আগে মাত্র ৭ বছর বয়সে কাঞ্চনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, অত ছোট বয়সে নিজের বিয়ে নিয়ে কিছুই জানতে পারেননি কাঞ্চন।
৭ বছর বয়সে বাল্যবিবাহের শিকার! ১১ বছর পর আদালতের রায়ে সেই বিয়ে থেকে মুক্তি পেলেন কাঞ্চন
প্রতীকী ছবি
Published on

অবশেষে ১১ বছর পর বাল্যবিবাহের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেলেন জয়পুরের বাসিন্দা কাঞ্চন। ২০১২ সালে মাত্র ৭ বছর বয়সে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। ১১ বছর পর সেই বিয়ে থেকে মিলল মুক্তি। শুক্রবার জয়পুরের এক সমাজসেবী সংগঠন 'সারথি ট্রাস্টি' কাঞ্চনের বাল্যবিবাহ বাতিলের আবেদন করে ‘পিঙ্ক সিটি’র ফ্যামিলি কোর্টে। তারপরেই কাঞ্চনকে সেই বিবাহ থেকে মুক্তি দিয়েছে আদালত।

রাজস্থানের জয়পুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা এক দোকানদারের মেয়ে কাঞ্চন। ১১ বছর আগে মাত্র ৭ বছর বয়সে তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, অত ছোট বয়সে নিজের বিয়ে নিয়ে কিছুই জানতে পারেননি কাঞ্চন। কিছুটা বড় হলে সেই বিষয়ে জানতে পেরে একটা সময় মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীকালে সমাজসেবী সংগঠন সারথি ট্রাস্টির বাল্যবিবাহ নিয়ে ক্যাম্পেন সম্পর্কে জানতে পারেন কাঞ্চনের ভাই। তখনই কাঞ্চনকে নিয়ে ওই সংগঠনের প্রধান কৃতি ভারতীর কাছে গিয়ে কাঞ্চনের ইচ্ছা-বিরুদ্ধ বাল্যবিবাহের কথা জানান।

সব জানার পর কাঞ্চনের বাল্যবিবাহ বাতিল করার জন্য জয়পুরের আদালতে আবেদন করে ওই সারথি ট্রাস্টি। এদিন কাঞ্চন আদালতে আবেদন করতে গেলেই বেশ কিছু স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সেখান থেকে বের করে দিতে যান। তাঁদের উপরে মোটা অঙ্কের জরিমানা করার ভয় দেখান। একঘরে করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

কিন্তু সারথি ট্রাস্টি সংগঠনের প্রধান কৃতি ওই নেতাদের বোঝালেই তাঁদের একাংশ কাঞ্চনের পক্ষ নেন, এমনকি আদালতে তাঁর বিবাহ বাতিলের আবেদনে সায়ও দেন। আদালত সবদিক শুনে এদিন কাঞ্চনকে তাঁর ১১ বছরের দুর্বিষহ বৈবাহিক জীবন থেকে মুক্তি দেয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in