কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অথৈ জলে। বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। গোটা দেশ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি রাজ্য পরীক্ষা নিচ্ছে,আবার কয়েকটি রাজ্য নিচ্ছে না। ফলে যারা পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করছে,আর অন্য পক্ষের মধ্যে একটা ব্যবধান ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন কয়েক লক্ষ পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার? প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা মহলেই।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শুভঙ্কর চক্রবর্তী মনে করছেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করলেও সিবিএসসি ও আইসিএসসি-র মূল্যায়নে সমস্যা হবে না। কারণ তারা অনলাইনে ক্লাস করে সিলেবাস শেষ করেছে, পরীক্ষা নিয়েছে। অর্থাৎ ওই দুই বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হয়েছে। উল্টোদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড ঠিক করেছে- নবম শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর, প্র্যাক্টিক্যাল, প্রজেক্টের নম্বরের গড় করে মূল্যায়ন করবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় দুই বোর্ড এবং রাজ্য বোর্ডের মূল্যায়নে ফারাক ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। সব স্তরে এই মূল্যায়ন আদৌ মর্যাদা পাবে কিনা, তা নিয়ে পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের আজীবন টেনশনে কাটাতে হবে, যার সিকিভাগ দায়ও বর্তাবে না রাজ্যের ওপর।
আইআইইএসটির প্রাক্তন রেজিস্ট্রার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আরও বেশি সময় নিয়ে নেওয়া যেত। এই মূল্যায়নের মার্কশিট সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কতটা মর্যাদা পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনিও। এই পড়ুয়ারা কোনও স্তরে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হবেন কিনা, সেসব ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত বলে তিনি মনে করছেন।
এদিকে, যে পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে বলে জানা যাচ্ছে,তাতে ভর্তিতে সমস্যা হবে বলে মনে করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিলের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস। তিনি বলেন, বিদেশে পড়তে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের ওপরেও এর প্রভাব পড়বে। নামী কলেজে ভর্তি ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়বে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।