দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের বেশিরভাগই ভূমিহীন, ছোট ও প্রান্তিক চাষি

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকরা
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকরা ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন এক মাস পূর্ণ করেছে। এখনও চলছে আন্দোলন। এরই মধ্যে এই কৃষকদের বিরুদ্ধে আরেকটি হাস্যকর প্রচার চালানো হচ্ছিল। তা হল, এই আন্দোলনে নাকি সামিল হয়েছেন বড়লোক কৃষক, মধ্যস্থতাকারীরা। যাদের আবার 'খালিস্তানি জঙ্গি' বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। কিন্তু এটা সত্যি নয়। আসল সত্যিটা টিকরি সীমান্তে গেলেই জানতে পারা যাবে। এখানকার আন্দোলনকারী কৃষকদের বেশিরভাগই দক্ষিণ পঞ্জাব থেকে আসা ভূমিহীন, ছোট ও প্রান্তিক চাষি। মালওয়া এলাকার ১৪ টি জেলার এইসব কৃষকরা গ্রামীণ সমস্যায় জর্জরিত।

সম্প্রতি, আত্মহত্যা করা প্রায় ২ হাজার কৃষকের বিধবারা টিকরি সীমান্তে এই কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। সাঙ্গুর, বারনালা, ভাতিন্ডা ও দক্ষিণ পঞ্জাবের অন্যান্য জায়গা থেকে এসেছেন এইসব কৃষক পরিবারের বিধবারা। সরকার যদি এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করে না নেয় বা সংশোধন না করে তাহলে পঞ্জাবে কৃষক আত্মহত্যার হার আরও বেড়ে যাবে বলে অভিযোগ তাঁদের।

৩৮ বছরের এক চাষি পূরণ সিং জানিয়েছেন, তিনি ফরিদকোট জেলার দীপ সিং ওয়ালা গ্রাম থেকে এসেছেন। তাঁর কাছে মাত্র এক হেক্টর (৩ একর) জমি রয়েছে। যা থেকে বছরে একর পিছু মেরেকেটে ৫০ হাজার টাকা আয় হয়। যা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন, বাচ্চারা স্কুলে যায়। এই অবস্থায় প্রত্যেকদিন তাঁকে অমানবিক কষ্ট করতে হয়। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রের নতুন আইন প্রণয়ন হলে তাঁর ফসল কে কিনবে? কে তাঁকে সহায়ক মূল্য দেবে? মান্ডিগুলো যদি বেসরকারিকরণ হয়ে যায় তাহলে সে পথে বসে যাবে। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের কৃষকরা ১০০ শতাংশ এইসব মান্ডিগুলোর উপর নির্ভরশীল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in