

শৌচালয় ব্যবস্থার উন্নতি, জ্বালানী ও পানীয় জলের ভালো ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজ্যে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে ২০১৯-২০ প্রথম ধাপের তথ্য প্রকাশের পর এমনটাই জানা গিয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০১৫-১৬ সালের পর এইধরনের তথ্য প্রকাশ করল মন্ত্রক।
১৭টি রাজ্যের তথ্য রয়েছে এই রিপোর্টে। যার মধ্যে মহারাষ্ট্র, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর-সহ ৫টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও রয়েছে। কোভিড মহামারি শুরুর আগেই এই রাজ্যগুলোর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। দ্বিতীয় ধাপের সমীক্ষায় উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলো থাকবে বলে জানা গিয়েছে। মহামারী পরিস্থিতির কারণে এইসব রাজ্যের সমীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছে বলে খবর। ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে এই রাজ্যগুলোয় সমীক্ষা শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম ধাপের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ রাজ্যেই ৫ বছরের নীচে থাকা শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নতি হচ্ছে। শিশুদের পুষ্টি, ওজনের পরিমাণও ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তেলেঙ্গানা, কেরল, বিহার এবং অসম ও জম্মু-কাশ্মীরে অপুষ্টির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা একইরকম রয়েছে। শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম রয়েছে। আবার গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, অসম ও কেরল। আগে যা ছিল, তার থেকে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন