পাঁচ বছর আগে আজকের দিনেই খুন হয়েছিলেন ডঃ এম এম কালবুরগি

ডঃ এম এম কালবুরগি
ডঃ এম এম কালবুরগি ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে আজকের দিনেই হত্যা করা হয়েছিলো অধ্যাপক এম এম কালবুরগিকে। নিজের বাড়ির সামনেই তাঁকে গুলি করে খুব করেছিলো দুষ্কৃতীরা। পরবর্তী সময়ে যে খুনের ঘটনার তদন্তে সামনে এসেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের যোগের কথা।

২০১৫ সালের আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ এম এম কালবুরগি ধারওয়াদে নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকান্ডের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছিলো পুলিশ। গৌরী লঙ্কেশকে বেঙ্গালুরুতে তাঁর বাড়ির সামনে হত্যা করা হয় এই ঘটনার দু’বছর পর ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর।

ডঃ এম এম কালবুরগির হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং ভারতীয় অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গতবছরের আগস্টে পেশ করা চার্জশিটে মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের মোট ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর অনুসারে এই ৬ জনই সনাতন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থার চিন্তাধারা এবং বিশ্বাসের সঙ্গে সহমত নন এরকম ব্যক্তিদেরই এঁরা খুন করেছে।

ডঃ কালবুরগি খুনের ঘটনায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টীম বা সিট প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, গণেশ মিসকিন এবং প্রবীণ চতুর নামের দুই ব্যক্তিকে এই ঘটনার জন্য দেশীয় বন্দুক দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো। এই প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন অমল কালে নামক এক ব্যক্তি। যিনি দক্ষিণ কান্নাড়ার পিলাথাবেট্টু গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে। এরপরই ৩০ আগস্ট খুন হন এম এম কালবুরগি।

ঘটনার দিন অমল কালে, গণেশ মিসকিন এবং প্রবীণ চতুর সকাল ৭টার সময় হুব্বাল্লির ইন্দিরা গান্ধী গ্লাস হাউসের সামনে দেখা করেন। অমল কালে এই সময় গণেশ মিসকিনের হাতে ৭.৬৫ বোরের একটি দেশী বন্দুক একটি ব্যাগে করে তুলে দেন।

এরপর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রবীণ চতুর এবং গণেশ মিসকিন একটি চুরি করা বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল করে ডঃ কাল্বুরগির বাড়িতে যায়। গণেশ মিসকিন কাল্বুরগির বাড়ি যান এবং তাঁর মাথায় দুবার গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন। এরপর প্রবীণ চতুর এবং গণেশ মিসকিন ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in