২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পর দেশে সবথেকে দুর্দশায় পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সম্প্রতি এক সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য। জন সাহস নামক এক এনজিও মার্চের ২৭ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালায়। মূলত উত্তর এবং মধ্য ভারত থেকে আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ৩১৯৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে এই সমীক্ষা তাঁরা করেছেন বলে জানা গেছে।
জন সাহস-এর করা ওই সমীক্ষা অনুসারে ৬৬ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন, গত ১ সপ্তাহ ধরে তাঁদের কাছে পরিবারের খরচ চালানোর মত যথেষ্ট অর্থ নেই। উল্লেখ্য ২০১১-র জনগণনা অনুসারে ভারতে মোট ৩৭ শতাংশ বা ৪৫০ মিলিয়ন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। ২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে এই বৃদ্ধির হার ছিলো ৪৫ শতাংশ।
ওই সমীক্ষায় আরও জানানো হয়েছে – ৪২ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন, এখনই তাঁদের কাছে কোনো রেশন নেই। লকডাউনের বাকী সময় কী খাবেন তাঁরা জানেন না।
৫৫ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন তাঁরা দিন প্রতি পরিবার পিছু (গড়ে ৪ জনের পরিবার) ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতেন। কিন্তু গত তিন সপ্তাহ ধরে তাঁদের কাছে কোনো কাজ নেই।
বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা সমীক্ষা চলাকালীন জানিয়েছেন, লকডাউনের জন্য তাঁরা তাঁদের গন্তব্যের থেকে অনেকটাই দূরে আটকে আছেন। তাঁদের কাছে বিন্দুমাত্র খাবারের সংস্থান নেই। একদিকে তাঁদের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে অন্যদিকে তাঁদের কাছে কোনো খাবার নেই।
৩১ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন – তাঁদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া আছে এবং এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সেই ঋণ তাঁরা শোধ করবেন তা তাঁরা জানেন না। অন্তত ৫০ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কীভাবে তাঁরা ঋণ শোধ করতে না পারার আতঙ্কে ভুগছেন এবং হিংসার আশঙ্কা করছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।