
আজ বেলা ১১টায় রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। বেলা ১২টায় তিনি লোকসভায় বক্তব্য রাখবেন। এই বক্তব্যে জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি কিছু উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে কাশ্মীরের গৃহবন্দী নেতাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে লড়াইয়ে থাকবার কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এবং সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরী। এক ট্যুইট বার্তায় জম্মু ও কাশ্মীরের গৃহবন্দী বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে শশী থারুর জানান – আপনারা নিজেদের একা ভাববেন না। প্রতিটি গণতন্ত্রপ্রিয় ভারতবাসী আপনাদের সঙ্গে আছে।
গত কয়েকদিন থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধী নেতা মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, সাজ্জাদ লোনকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিপিআই(এম) বিধায়ক ইউসুফ তারিগামিকে। এই গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিআই(এম)।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান রবিন্দ্রর রায়না এক বার্তায় জানিয়েছিলেন – জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা সমস্যার সৃষ্টি করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন এবং উপত্যকার উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
এদিনই কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এক বৈঠক হবার কথা। যে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন এবং এস জয়শঙ্কর। ক্যাবিনেট বৈঠকের আগে অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আলাদা করে বৈঠক করার কথা।
সোমবার মধ্যরাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে শ্রীনগরের বিস্তীর্ণ অংশে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই ধারা বলবত থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে আজ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও লাডাখ অঞ্চলে স্কুল কলেজ খোলা আছে বলে জানা গেছে। বহু অঞ্চলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সভা ও জমায়েত।
এর আগে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিলো। দ্রুত সমস্ত পর্যটককে ফিরে যাবার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনিক তরফে। গত কয়েকদিনে দুই দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া সংবিধানের বিশেষ ক্ষমতা ৩৫এ ধারা বিলোপের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত বিরোধী দল। রবিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত বিরোধীদলের ডাকে এক সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই তিন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে গৃহবন্দী করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন