

চলতি বছরের জানুয়ারি ও মে মাসের মধ্যে আড়াই কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। যার মধ্যে ২.২ কোটি চাকরি গিয়েছে এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যে। এই সময়ের মধ্যেই ভারতে আছড়ে পড়েছে কোভিডের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ। দেশজুড়ে লকডাউন না হলেও রাজ্যগুলোতে সংক্রমণের ভিত্তিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আর লকডাউনের ফলে চাকরি গিয়েছে দ্রুত গতিতে।
সেন্ট্রাল ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সি.এম.আই.ই)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠিত ক্ষেত্রগুলোতে লকডাউনের প্রভাব পড়বে তা স্বাভাবিক। প্রভাবের ফলে চাকরিও যাবে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও এই চাকরি যাওয়ার বিষয়ে মহামারিকে দায়ী করতে রাজি নয় সরকার।
সি.এম.আই.ই-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মোট চাকরিরত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০.১ কোটি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে তা কমে ৩৯.৮ কোটিতে নেমে আসে। এরপরে এপ্রিল-মে মাসে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। চলতি বছরে লকডাউনের প্রভাব বেশি করে চোখে পড়তে শুরু করে এরপরেই। দিনমজুরদের অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ দিনমজুর কাজ হারায় এই সময়ের মধ্যে। বেতনভুক কর্মী ও ব্যবসায়ীরাও কাজ হারিয়েছেন। যার পরিমাণ ২ মাসে প্রায় ৯০ লক্ষ।
এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের। গত বছরের মতো এবছরেও এপ্রিল মাসেই কৃষিক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৬০ লাখ মানুষ। আসন্ন মাসগুলোতে খারিফ ফসল ফলানোর সময় ৯০ লাখ মানুষের চাকরি তৈরি হতে পারে বলে অনুমান সি.এম.আই.ই-র। মূলত, কৃষিক্ষেত্রে এর ফলে ৩৮ লাখ চাকরি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছে সি.এম.আই.ই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন