আজও অটুট জনপ্রিয়তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুরোনো সাক্ষাৎকার

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর লেখা বই সাড়া জাগিয়েছে। শেষবার তিনি জনসমক্ষে এসেছিলেন গত ৩ ফেব্রুয়ারি। যদিও সিপিআই(এম)-এর ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে এলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি গাড়ি থেকে নামতে পারেননি বা মঞ্চে ওঠেননি। তবুও আজও অটুট তাঁর জনপ্রিয়তা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তো কত কিছুই হয়। কিন্তু প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়া একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ভাইরাল হয়ে যাওয়া পোস্ট ঘিরে ফের উত্তাল রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে অনেকটাই সরিয়ে নিলেও এখনও যে তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট তা আরও একবার প্রমাণ করলো একটি ফেসবুক পোস্ট।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআই(এম) নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-র জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হা-হুতাশ। সম্প্রতি এরকমই ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের একটি পেজে। গত ২৮ মার্চ ‘পথের দিশারী’ নামক একটি ফেসবুক পেজ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে একটি পোস্ট করে। যে পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিদায় নেবার ২০ মাস পর ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে এবিপি আনন্দের নেওয়া বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর এক সাক্ষাৎকার পোস্ট করা হয়।

ওই ভিডিওর পোস্টের সঙ্গে পেজে লেখা হয় – “স্যার আপনাকে ভুল বুঝেছিলাম। তাই তার ফল আজ আমরা ভোগ করছি”।

গত ২৮ মার্চ এই পোস্ট হবার পর এখনও পর্যন্ত এই পোস্টে লাইক করেছেন ১২ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী। এখনও পর্যন্ত পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ১৩ হাজার এবং ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন ১ হাজার ১০০ জন। যার বেশিরভাগ জুড়েই একজন সৎ, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে না পাবার আফশোষ।

ওই পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে জনৈক প্রান্তিক বসু লিখেছেন - দুর্ভাগা বঙ্গবাসী আমরা... সারাজীবন কেঁদে গেলাম চৌত্রিশ চৌত্রিশ করে... কিন্তু সত্যিকারের একজন কাজের মুখ্যমন্ত্রী পেলাম, তাঁর কদর দিতে পারলাম না!!

একজন মিথ্যাবাদী নারীর প্ররোচনায় আর প্রতারণায় পা দিয়ে খাল কেটে কুমির এনে ফেললাম..

আবার হেমন্ত বসু লিখেছেন - দেশের কতিপয় সবথেকে স্বচ্ছ রাজনীতিকদের একজন। সৎ, শিক্ষিত, রুচিশীল। বাংলার অনেক বুদ্ধিজীবীর চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। ভালো থাকুন। সত্যের জয় একদিন হবেই। ভন্ড, অশিক্ষিত, চিটিংবাজ, জোচ্চোর রাজনীতিকগুলোর মুখোশ একদিন খুলবেই। সে কেন্দ্রের কী রাজ্যের।

অর্ঘদেব বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন লিখেছেন - এখন ভেবে খারাপ লাগে, পশ্চিমবঙ্গের কোনো পলিটিশিয়ানের মুখে এত লজিকাল কথা শেষ কবে শুনেছিলাম মনে পড়েনা। এক পন্ডিতকে সরিয়ে এক উন্মাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার ভুল একটা প্রজন্মের ধ্বংস দিয়ে শোধ হচ্ছে।

পবিত্র মাইতি নামক এক নেটিজেন লিখেছেন - স‍্যার আপনি পশ্চিমবঙ্গকে লক্ষী এনে দিয়েছিলেন।কিন্ত পশ্চিমবঙ্গ হাতের লক্ষীকে পায়ে ঠেলে আম আর ছালা দুটোই হারিয়েছে।

আবার পিনাকী মাহাতো লিখেছেন - জানেন, জঙ্গল মহলের বেলপাহাড়ি তে দিদি 2012 সালে ঘোষণা করেন যে মাওবাদীদের হাতে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিবে বলে আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আমরা অসহায় । অথচ মাওবাদীদের দেওয়া হয়েছে । এটাই তো দিদির উন্নয়ন।

(পথের দিশারী ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in