গোটা বিশ্বে প্রায় ৪৪টি দেশে করোনার ভারতীয় স্ট্রেন B.1.617। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনটা দাবি করলেও তা মানতে নারাজ কেন্দ্র। WHO এই ভ্যারিয়েন্টের ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সংস্থা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে ভারতীয় কথাটি উল্লেখ নেই। দাবি কেন্দ্রের। গত অক্টোবরে ভারতে প্রথম স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল।
WHO জানিয়েছে, ওপেন এক্সেস ডেটাবেস আপলোড করা ৪,৫০০টি নমুনা থেকে থেকে স্পষ্ট, ৪৪টি দেশে এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। আরও পাঁচটি দেশে এই স্ট্রেন মিলেছে। এই স্ট্রেনে আক্রান্তের নিরিখে ব্রিটেন ঠিক ভারতের পরেই। ২০১৯-এ চিনে মারণ ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব হয়েছিল তার থেকেও ভয়াবহ এই স্ট্রেন। এই স্ট্রেন অনেক বেশি শক্তিশালী কারণ, টিকা এই স্ট্রেন প্রতিরোধ করতে পারবে না।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে ভারতীয় শব্দের কোনও উল্লেখ নেই। অথচ সংবাদমাধ্যম অকারণে ভারতীয় শব্দটি ব্যবহার করছে। এমনকি 'WHO' কোনও নির্দিষ্ট প্রজাতির ভাইরাসকে বিশেষ একটি দেশের নামে চিহ্নিত করার পক্ষপাতীও নয়। এমন দাবি করেছে ভারত। ভারতের এই দাবি সমর্থন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 'WHO' বুধবার টুইট করে জানিয়েছে, 'আমরা কোনও ভাইরাস যে দেশে প্রথম পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে নামকরণ করি না। সেটিকে বিজ্ঞানভিত্তিক নামে প্রকাশ করি।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।