মে মাসে ১৯ লক্ষের অধিক ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে আসা অসংখ্য অভিযোগ এবং সংস্থার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করার জেরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মেটা (Meta) মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম।
ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুসারে, প্রতি মাসে বড় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে হয়। সেখানে জানাতে হয়, ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে কতগুলি অভিযোগ এসেছে এবং সংস্থার পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মে মাসে ১.৯ মিলিয়নেরও বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।’ তাঁর কথায়, ‘ব্যবহারকারী সুরক্ষা রিপোর্টে (The user-safety report) অভিযোগের বিশদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ এবং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার রুখতে সংস্থার নিজস্ব নিয়মনীতি ও কর্মপদ্ধতি জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, নেটমাধ্যমে ঘটে চলা বিভিন্ন ধরনের নিগ্রহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের নিয়মবিরুদ্ধ কাজকর্ম বন্ধ করার প্রচেষ্টা চলছে। রিপোর্টেও তা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘হেনস্থার উদ্দেশ্যে অপমানকর ম্যাসেজ পাঠানো নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
জানা যাচ্ছে, গত এপ্রিল মাসে ১৬ লক্ষ এবং মার্চ মাসে ১৮ লক্ষ ৫ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ আকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়েছিল ভারতে।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য কয়েক বছর ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছি। এজন্য আমরা ডেটা সায়েন্টিস্ট-সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর বিনিয়োগও বাড়িয়েছি।’
২০২২ সালের মে মাসে ৫২৮ টি অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪ টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশন’ নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। প্রাপ্ত মোট অভিযোগের মধ্যে ৩০৩টি অভিযোগ এসেছে অ্যাকাউন্ট ‘নিষিদ্ধকরণের’ দাবি জানিয়ে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শুধু নিগ্রহ নয়, ভুল ও মিথ্যে খবর প্রচার করা, অসমর্থিত সূত্র থেকে আসা কোনও বার্তা বা ছবি একাধিক মানুষকে পাঠানোর জন্যেও ব্যান করা হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। বিশেষ করে যে ধরনের বার্তাগুলি অসংখ্যবার ফরোয়ার্ড করা হয়েছে, এবং যে মেসেজগুলির জন্য গণরোষ তৈরি হয়েছে, সেইসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।