মহামারী প্রসঙ্গে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছুদিনের মধ্যেই কোভিড প্যানেল থেকে পদত্যাগ করলেন শীর্ষ স্থানীয় ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল। কেন্দ্র করোনার ভ্যারিয়েন্ট খোঁজার জন্য বিজ্ঞানীদের যে ফোরাম গঠন করেছে, তাতে অন্যতম উপদেষ্টা পদে ছিলেন শাহিদ।
ড. শাহিদ জামিল জানিয়েছেন, 'আমি যা করেছি একদম ঠিক করেছি, এর থেকে বেশি কিছু বলার নেই। এর থেকে বেশি কিছু বলার জন্য আমি বাধ্য নই।' এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি এই ফোরামের বায়োটেকনলজি বিভাগের সচিব রেণু স্বরূপ।
কয়েকদিন আগেই ড. জামিল নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে লিখেছিলেন, ভারতের বিজ্ঞানীদের এখন প্রমাণ ভিত্তিক নীতিকে মেনে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি ভারতের কোভিড ১৯ ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি এর মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন। এছাড়াও করোনা পরীক্ষা করার খারাপ পরিকাঠামো, ভ্যাকসিন দেওয়ার ধীর গতি, ভ্যাকসিনের ঘাটতি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থার কথা বেশি করে তুলে ধরেছেন। এই বিষয়গুলোর কথা ফোরামে থাকা বিজ্ঞানীরা বার বার বললেও, ভুল নীতির কারণে তা মানতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের।
তাঁর আরও দাবি, বিজ্ঞানীরা গত মার্চ মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক করলেও এই বিষয়টিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এছাড়াও ভারতের মত অধিক জনসংখ্যার দেশে কেন টিকাকরণ নিয়ে আরও তৎপর হয়নি কেন্দ্রীয় সরকার তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গত ৩০ এপ্রিল ৮০০-র বেশি বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেছেন দেশের করোনা পরিস্থিতির তথ্য দেওয়ার জন্য। যাতে পরবর্তী সমীক্ষা করে ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া মহামারী পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কিন্তু, আদতে তা হচ্ছে না, যার পরিণাম, মানুষের প্রাণ দিয়ে এর মূল্য চোকাতে হচ্ছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।