Twitter: ভেরিফায়েড সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যমের ট্যুইট আটকানোর সর্বাধিক আইনি দাবি ভারত থেকে - রিপোর্ট

ট্যুইটার সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে জানিয়েছে, ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট প্রসঙ্গিত তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে ভারত দ্বিতীয় স্থানে আছে। যা বিশ্বব্যাপী আবেদনের ১৯ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ছবি সংগৃহীত

ট্যুইটারে জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২১-এর মধ্যে ট্যুইট মুছে দেবার সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে ভারত থেকে। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভেরিফায়েড সাংবাদিক এবং ভেরিফায়েড সংবাদমাধ্যমের ট্যুইট সরানোর জন্য এই আইনি দাবি জানানো হয়েছে।

ট্যুইটার তাদের সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে জানিয়েছে, ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট প্রসঙ্গিত তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে ভারত দ্বিতীয় স্থানে আছে। যা বিশ্বব্যাপী আবেদনের ১৯ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা।

গত জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে সমস্ত ধরণের ব্যবহারকারীদের জন্য টুইটারে বিষয়বস্তু-ব্লকিং আদেশ জারি করা শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যেও ভারত ছিল।

ওই রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বজুড়ে মোট ৩৪৯ জন ভেরিফায়েড সাংবাদিক এবং সংবাদমাধ্যমের ট্যুইট সরানোর দাবি নিয়ে মোট ৩২৬টি আইনি দাবি জমা পড়েছে। যা বিগত জানুয়ারি থেকে জুন ২০২১-এর তুলনায় ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ১১৪ জন, তুরস্কের ৭৮ জন, রাশিয়ার ৫৫ জন এবং পাকিস্তান এর পক্ষ থেকে ৪৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

জানুয়ারী-জুন ২০২১-এও ভারত এই তালিকার শীর্ষে ছিল। সেই সময়সীমায়, ভারত বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মটির কাছে ৮৯টি দাবি জমা দিয়েছিল। যেখানে বিশ্বজুড়ে মোট দাবি জানানো হয়েছিল ৮৯টি।

টুইটার জানিয়েছে 'আইনি দাবি'-র মধ্যে আদালতের আদেশ এবং বিষয়বস্তু অপসারণের অন্যান্য আনুষ্ঠানিক দাবি রয়েছে। যে আবেদন করা হয়েছে বিভিন্ন সরকারী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের কাছ থেকে।

বিশদ বিবরণ না দিয়ে ট্যুইটার জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ভেরিফায়েড সাংবাদিক এবং সংবাদমাধ্যমের ১৭টি টুইট ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে আটকে রাখা হয়, যেখানে জানুয়ারি-জুন মাসে ১১টি টুইট আটকে রাখা হয়েছিল।

ট্যুইটারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, "এক উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট করা টুইটটি ভারতীয় আইন মেনে ভারতে আটকে রাখা হয়।"

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে, ভারত থেকে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রদানের জন্য টুইটার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সরকারি আইনি অনুরোধ পেয়েছে।

''যুক্তরাষ্ট্র এই রিপোর্টিং সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি তথ্যের অনুরোধ জমা দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী আবেদনের ২০ শতাংশ, এবং বিশ্বব্যাপী অ্যাকাউন্টের ৩৯ শতাংশ।

"দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অনুরোধ এসেছে ভারত থেকে, যা বিশ্বব্যাপী আবেদনের ১৯ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাপী অ্যাকাউন্ট-এর ২৭ শতাংশ।" ট্যুইটারে আবেদনকারী শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে অন্য তিনটি দেশ হল জাপান, ফ্রান্স এবং জার্মানি। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারের কাছ থেকে, টুইটারের কাছে এই সংক্রান্ত অনুরোধ এসেছে ১১,৪৬০টি। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে ট্যুইট মোছার দাবি জমা পড়েছে ৪৭,৫৭২টি।

এই সময়ের মধ্যে, ভারতে টুইটার ৮৮টি অ্যাকাউন্ট এবং ৩০৩টি টুইট আটকে রেখেছে।

টুইটার নির্দেশিকা অনুসারে, 'সরকারি তথ্যের অনুরোধ'-এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সরকারী সংস্থার দ্বারা জারি করা অ্যাকাউন্টের তথ্যের জন্য জরুরী এবং রুটিন আইনি দাবি উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in