

সুন্দরবনে বাৎসরিক বাঘশুমারি শুরু হতে চলেছে আগামী ২৭ নভেম্বর। সরকারি আধিকারিকদের সূত্রে একথা জানা গেছে। বাঘশুমারির জন্য সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে ৫০ জন কর্মীর প্রশিক্ষণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বন দপ্তরের সূত্র অনুসারে, সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ-এর অঞ্চল ছাড়াও শুমারির প্রথম পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের বন দপ্তরের আওতাধীন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবনের অন্যান্য অঞ্চলে শুমারির কাজ চালানো হবে।
রাজ্য বনদপ্তরের এক বিশিষ্ট আধিকারিক জানিয়েছেন, টাইগার রিজার্ভের বিভিন্ন অঞ্চলে বাঘশুমারির প্রয়োজনে ৭৩২ টি জায়গায় মোট ১,৪৬৪টি ক্যামেরা বসানো হবে।
তিনি বলেন, “প্রথম পর্যায়ে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত জায়গায় ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ করা হবে। পরবর্তী ৩৫ দিন ওইসব অঞ্চলে ক্যামেরা লাগানো থাকবে।
বাঘশুমারির দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ২০২১-এর ৫ ডিসেম্বর থেকে বাঘশুমারির প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছিল। এই কাজ শেষ হয় ৫ জানুয়ারি, ২০২২। দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ চালানো হয় ৮ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছর সুন্দরবনে ১০১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা পাওয়া গেছিল। ২০১৪ সালে সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ছিল ৭৬ এবং ২০১৮ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮।
ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (NCTA) এবং ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া (WII)-র সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে সুন্দরবনে প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের বসবাসের ঘনত্ব ৪.৬৮।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন