
রাজ্যের আদিবাসী শিশুদের ভবিষ্যৎ ও তাদের অনলাইন ক্লাসের নিশ্চিৎ ব্যবস্থা করে দিতে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে চায় কেরল। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এমনটাই জানালেন। একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সকলের জন্য ডিজিটাল শিক্ষার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এর মাধ্যমে যে সব বাচ্চারা ডিজিটাল সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন, তারাও পড়াশোনার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই মহামারী পরিস্থিতি ঠিক কতদিন ধরে চলবে, তার ঠিক নেই। এমন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল মাধ্যমেই বাচ্চাদের শিক্ষা চালাতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় পড়াশোনা শুরু করার আগে বাচ্চাদের টেক্সটবুক ও নোট অনলাইনের মাধ্যমে কী করে পেতে হবে তা বুঝে নিতে হবে। এমন বাচ্চারাও রয়েছে যাদের কাছে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। আবার কারুর কাছে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। সমস্ত রাজ্যের এরকম প্রান্তিক বাচ্চাদের খুঁজে বের করে সমস্যার সমাধান করা হবে আগে।
বেশি গুরুত্ব দিতে হবে আদিবাসী অঞ্চলগুলোকে। যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জেনারেটর নেই, সোলার প্যানেল নেই। সেখানে সকলের জন্য এই ব্যবস্থা করতে হবে। আদিবাসী বাচ্চাদের জন্য ফোন, ল্যাপটপ কিনতে দানের টাকা ব্যবহার করার কথাও উল্লেখ করেছেন বিজয়ন।
এমনকী, একটি আলাদা ফান্ডও গঠন করা হবে এইসব জিনিসপত্র কেনার জন্য। প্রাক্তন ছাত্র, উদার দানকারী, এনআরআইদের কাছে থেকে মূলত টাকা তোলা হবে এই ফান্ড গঠনের জন্য। এমনকী, একটি বড়সড় প্রচারও চালানো হবে এই ফান্ড তৈরির জন্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন