

গত প্রায় ১৪ মাস ধরে করোনা আবহে একের পর এক কারখানা, অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, কীভাবে সংসার চালাবেন, তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, সেই পরিস্থিতিতে রতন টাটার পদক্ষেপ নজির সৃষ্টি করল। তাঁকে এক বাক্যে সবাই কুর্নিশ জানাল। মারণ ভাইরাস করোনা কেড়েছে বহু প্রাণ। লকডাউন পরিস্থিতিতে বহু বেসরকারি কর্মী কর্মহীন হয়েছেন। কোথাও সংসারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যু হওয়ায় কার্যত পথে বসেছে বহু পরিবার।
এই পরিস্থিতিতে টাটা স্টিলের করোনা আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে কোম্পানির তরফে একটি টুইট করা হয়। তাতে লেখা হয়েছে, কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি সামাজিক সুরক্ষা স্কিম চালু করা হল। করোনায় কোনও কর্মচারী মারা গেলে, তাঁর ৬০ বছর পর্যন্ত তাঁর পরিবারকে মাসিক বেতন দেওয়া হবে। পাশাপাশি চিকিৎসা ও বসবাস সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাও প্রদান করা হবে।
এছাড়াও মৃতের সন্তানদের পড়াশোনার খরচও কোম্পানি বহন করবে৷ শুধু নিজের সংস্থার কর্মীদের জন্যই নয়, রতন টাটা টুইটারে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাকেও তাদের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। শুধু একজন শিল্পপতির হিসেবে নয়, রতন টাটা বরাবরই দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে নানাভাবে এগিয়ে এসেছেন। তাঁর পদক্ষেপ বিভিন্ন সময়ে নজির সৃষ্টি করেছে।
কয়েকদিন আগে যখন অক্সিজেনের হাহাকারে গোটা দেশ টালমাটাল করছিল, সেইসময় অক্সিজেন জোগান দিয়েছিল টাটা স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তাঁর এই কাজ শুধু শিল্পমহলের নয় দেশবাসীর প্রশংসা পায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন