
শুক্রবার চাঁদের উদ্দেশ্যে তৃতীয়বার মহাকাশযান পাঠাল ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার বা ইসরো। এদিন দুপুর ২.৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চাঁদের দিকে রওনা দেয় চন্দ্রযান-৩। দেশের কোটি কোটি মানুষ শুক্রবার এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলেন।
২০১৯ সালেও একবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান-২ পাঠিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেবার মহাকাশযানে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা চাঁদের মাটিতে মসৃণভাবে অবতরন করার আগেই পৃথিবীর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই এবারে মহাকাশযানে বিজ্ঞানীরা বিশেষ কিছু পরিবর্তন করেছেন।চন্দ্রযান-৩ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তৈরি করেছে তামিলনাড়ুর একদল ছাত্রও।
তামিলনাড়ুর সালেমের সোনা কলেজ অফ টেকনোলজির সোনাস্পিড টিমের ছাত্ররা ভারতের তৃতীয় চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণ যন্ত্র Mark-III (LVM 3)-এ ব্যবহারের জন্য একটি স্টেপার মোটর তৈরি করেছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা একাধিক মোটর বাতিল করে দেওয়ার পর সোনা টেকনোলজি কলেজের ছাত্রদের তরফে তৈরি ওই মোটরটি তাঁদের দেখানো হয়। এই মোটরটি মূলত রকেটের ইঞ্জিনে তরল জ্বালানিকে ও অক্সিডাইজার মিশ্রণের শতকরা পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ছাত্রদলের তৈরি ওই মোটরটির কার্যক্ষমতা দেখেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা তাতে অনুমোদন দেন।
সোনা টেকনোলজি কলেজের অধ্যাপক তথা সোনাস্পিড দলের প্রধান এন কান্নান এই নিয়ে জানিয়েছেন, “আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে ইসরোর চন্দ্রাভিযানে কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছি। আমাদের গবেষক ছাত্রের দল ইসরোর পরবর্তী চন্দ্র অভিযানগুলিতেও সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে থাকবে।”
প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান-২ এর মতো এবারও চাঁদের অন্ধকার দিকে মসৃণ অবতরণ করে রোভারের সাহায্যে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করাই মূল লক্ষ্য। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যদি এবারে তাদের এই লক্ষ্যে সফল হন তাহলে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চাঁদে মসৃণ অবতরণের নিরিখে ভারত সেই তালিকায় বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন