
বিদেশ থেকে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট-সহ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ আমদানি করায় বিশেষ বাধানিষেধ আরোপ করল কেন্দ্র। দেশীয় কম্পিউটার-সহ ইলেক্ট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলিকে আরও উৎসাহিত করতে এই প্রচেষ্টা বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে ওইধরণের ইলেক্ট্রনিক পণ্য আমদানি করতে হলে নিতে হবে বিশেষ লাইসেন্স। পাশাপাশি, দেশীয় ইলেক্ট্রনিকস প্রস্তুতকারক কোম্পানির জন্য একটি প্রকল্পও চালু করা হয়েছে, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ফিনান্সিয়াল ইনসেন্টিভ প্ল্যান।
সম্প্রতি ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের ডিরেক্টরেট জেনারেলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এবার থেকে ক্রেতারা বিদেশ থেকে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, অল-ইন-ওয়ান পার্সোনাল কম্পিউটার, আলট্রা-স্মল কম্পিউটার, সার্ভার ইত্যাদি কম্পিউটার সংক্রান্ত ইলেক্ট্রনিক পণ্য আমদানি করতে চাইলে তাদের আগে কেন্দ্রের থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে বিশেষভাবে ডিজাইন করা কিছু ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সামান্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে কত কী ছাড় রয়েছে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।
দেশীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলির ব্যবসা বাড়াতে ও তাদের উৎসাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের এই নির্দেশের পরেই দেশীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাণ কোম্পানিগুলির শেয়ার মূল্য বেশ খানিকটা বেড়েছে। যেমন কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেই অ্যাম্বার এন্টারপ্রাইসেস লিমিটেড-এর শেয়ার মূল্য ৩.৩ শতাংশ, ডিক্সন টেকনোলজিস ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর শেয়ার মূল্য ৫.৫ শতাংশ এবং পিজি ইলেক্ট্রোপ্লাস্ট লিমিটেড-এর শেয়ার মূল্য ২.৮ শতাংশ বেড়েছে।
দেশীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাণ কোম্পানিগুলির সুবিধার্থে একদিকে যেমন বিদেশি আমদানি কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অন্যদিকে তেমনই মোদী সরকারের তরফে দেশের কোম্পানিগুলির জন্য ফিনান্সিয়াল ইনসেন্টিভ প্ল্যান প্রকল্পের আওতায় ২.১ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৭০ বিলিয়ন ইনসেন্টিভ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট-সহ হার্ডওয়ার নির্মাণ কোম্পানিগুলি চিনের বাইরেও তাঁদের সাপ্লাই চেইন বাড়াতে চায়। ঠিক এই সময়ে ভারতের বাজারের দিকে তাদের নজর ঘোরাতেই এই উদ্যোগ কেন্দ্রের। এই ইনসেন্টিভের জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ ৩০ আগস্ট।