রবিবার মহালয়া। আর সেদিনই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এ বার খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলবে এই মহাজাগতিক ঘটনা। সূর্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ ঢেকে যাবে চাঁদের ছায়ায়। যদিও পূর্ণগ্রাস হবে না, ফলে সূর্যের একটি খণ্ডিত রূপই ধরা দেবে।
সম্প্রতি ছিল চন্দ্রগ্রহণ। ঐতিহাসিক 'রেড মুন'-এর সাক্ষী থেকেছে বিশ্ববাসী। এবার পালা সূর্যগ্রহণের। তবে তার সাক্ষী হবেন কেবল দক্ষিণ গোলার্ধের মানুষজন। গ্রহণকে ঘিরে বাড়তি উৎসাহ থাকলেও ভারতের আকাশ থেকে দেখা যাবে না এই দৃশ্য।
কখন শুরু, কখন শেষ?
গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে। সর্বাধিক ঢেকে যাবে সূর্য রাত ১টা ১১ মিনিটে (২২ সেপ্টেম্বর)। ভোর ৩টে ২৩ মিনিট নাগাদ শেষ হবে গ্রহণ। সেই সময় উত্তর গোলার্ধে রাত থাকায় ভারত, বাংলাদেশ বা ইউরোপ–আমেরিকার দেশগুলো থেকে দেখা সম্ভব হবে না।
কোথা থেকে দেখা যাবে?
মূলত দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলো এ বার খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হবে। অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, আন্টার্কটিকার কিছু অংশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোয় দৃশ্যমান হবে গ্রহণ। বিশেষত নিউ জিল্যান্ডের দক্ষিণ অঞ্চলে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে ধরা দেবে সূর্যের খণ্ডিত রূপ।
বিজ্ঞানের ভাষায় সূর্যগ্রহণ
চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় চলে আসে, তখনই হয় গ্রহণ। চাঁদ যদি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবী থেকে সূর্যকে দেখা যায়না। তাকে বলে সূর্যগ্রহণ। পূর্ণ সূর্য চাঁদের ছায়ায় ঢেকে গেলে সেটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, আর আংশিক অংশ ঢাকলে খণ্ডগ্রাস গ্রহণ। এবারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টি ঘটতে চলেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন