ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় মহিলা হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন শিরিষা বান্দলার

তবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পর্যন্ত যায়নি ইউনিটি-২২। মহাকাশ যেখান থেকে শুরু হচ্ছে সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়েই ফিরে আসে যানটি। ‌সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ মিনিটের সফর ছিল এটা।
শিরিষা বান্দলা
শিরিষা বান্দলাছবি অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপালের ট্যুইটার হ্যান্ডলের সৌজন্যে
Published on

কল্পনা চাওলা, সুনীতা উইলিয়ামসের পর তৃতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন শিরিষা বান্দলা। ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের সঙ্গে তিনি মহাকাশে পাড়ি দেন। সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন।

আগামী বছর থেকে ভার্জিন গ্যালাকটিক মহাকাশে পর্যটকদের নিয়ে যাবার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে মহাকাশ পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক সংস্থার মধ্যে এই ব্যবসার দখল নিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রতিযোগিতা।

গতকাল সকালে (ভারতীয় সময় রাত পৌনে ন'টায়) নিউ মেক্সিকো থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় ভার্জিন গ্যালাকটিকের বিশেষ এই মহাকাশযান। এই যানের নাম ভিএসএস ইউনিটি বা ইউনিটি-২২। আদতে একটি এয়ারক্রাফটের সাহায্যে ইউনিটি স্পেস প্লেনকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় এই স্পেস প্লেন নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়। এরপর স্পেস প্লেনের ইঞ্জিন চালু হয় এবং তা পৃথিবীর প্রায় ২,৯০,০০০ ফুটের কাছাকাছি ওপরের দিকে যাবে।

তবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পর্যন্ত যায়নি ইউনিটি-২২। মহাকাশ যেখান থেকে শুরু হচ্ছে সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়েই ফিরে আসে যানটি। ‌সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ মিনিটের সফর ছিল এটা।

এই সফরের অংশ হতে পেরে আপ্লুত ৩৪ বছরের অ‍্যারোনটিক‍্যাল ইঞ্জিনিয়ার শিরিষা যাত্রা শুরুর আগে ট‍্যুইটারে লিখেছিলেন, "মহাকাশের ‌দরজা সকলের জন্য খুলে দিতে চায় এমন সংস্থার সদস্য হতে পেরে এবং ইউনিটি-২২ এর আমেজিং ক্রুদের অংশ হতে পেরে আমি অত‍্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।"

শিরিষার এই সফরের জন্য ভারত থেকে তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁর ঠাকুরদা রাগাইয়া। অন্ধ্রপ্রদেশের গন্টুর জেলার বাসিন্দা তিনি। শিরিষারও জন্ম এখানে। পরে আমেরিকা চলে যান তিনি।

অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ‍্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দ্রণ ট‍্যুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শিরিষাকে।

আগামী সপ্তাহে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসেরও মহাকাশ যাত্রা করার কথা। সেই রকেটের নাম ব্লু অরিজিন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in