Satyendra Nath Bose: বিশেষ Doodle-এর মাধ্যমে বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানীকে শ্রদ্ধা Google-এর

আজকের দিনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কোয়ান্টাম মেকানিজম বিষয়ক গবেষণা, যা তিনি ১৯২০ সাল থেকে করে আসছেন, তা বিশ্ববরেন্য জার্মান বৈজ্ঞানিক অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কর্তৃক গৃহীত হয়।
সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল Google
সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল Google
Published on

বিশেষ Doodle আর্টের মাধ্যমে প্রবাদপ্রতিম বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল Google। বিশেষ কোনো ব্যক্তির কৃতিত্বকে বা ব্যক্তিটিকে সম্মান জানানোর জন্য Google এই বিশেষ পন্থা অবলম্বন করে থাকে।

শনিবার (৪ই জুন), Google তাদের মূল সার্চ করার পাতায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর একটি Doodle আর্ট প্রকাশ করে। আজ গোটা দিন Google-সার্চে এটি দেখা যাবে। পদার্থবিদ্যা ও গণিতের গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বাঙালি বিজ্ঞানীর প্রতি Google-এর এই অভিনব প্রয়াস।

১৯২৪ সালের আজকের দিনেই সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কোয়ান্টাম মেকানিজম বিষয়ক গবেষণা, যা তিনি ১৯২০ সাল থেকে করে আসছেন, তা বিশ্ববরেণ্য জার্মান বৈজ্ঞানিক অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কর্তৃক গৃহীত হয়। এবং বসুর গবেষণার তাৎপর্য প্রকাশ্যে আসে। এই গবেষণা ‘বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান’ নামে পরিচিত।

১৮৯৪ সালে কলকাতায় জন্ম হয় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর। পদার্থবিদ্যা, গণিত তো বটেই, এছাড়াও জীবনবিজ্ঞান, রসায়ন, দর্শন, কলাবিজ্ঞান ও সাহিত্যেও ঝোঁক ছিল তাঁর। আইনস্টাইনকে নিজের গুরু মানতেন এই বাঙালি। কলকাতার হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে সর্বোচ্চ নম্বর অধিকারী সত্যেন্দ্রনাথ, ১৯১৬ সালের কাছাকাছি সময়ে পদার্থবিদ্যা বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। কলেজ পড়ুয়াদের 'প্ল্যাঙ্ক'এর বিকিরণ তথ্য প্রসঙ্গে বিশ্লেষণকালে 'পার্টিকেল গণনা'র বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন জাগে তাঁর মনে। পরে নিজের গবেষণায় এই বিষয়টি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেন। ‘Plannk’s law and the Hypothesis of Light Quanta’, নামে তাঁর এই গবেষণাপত্র ‘দ্য ফিলোজফিক্যাল ম্যাগাজিন’- নামের একটি বিশিষ্ট বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে পাঠান। বসুর এই গবেষণাপত্র উক্ত ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রত্যাখিত হলে, তিনি সরাসরি তা অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই গবেষণাপত্রটি আইনস্টাইন কর্তৃক গৃহীত হয় এবং এই পেপারটি কোয়ান্টাম গবেষণার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলে বিবেচিত হয়।

বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু ও প্রফুল্ল চন্দ্র রায় দ্বারা অনুপ্রাণিত সত্যেন্দ্রনাথ বসু এই কোয়ান্টাম বিষয়ক গবেষণার পর ভারত সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মবিভূষণ’ দ্বারা ভূষিত হন। তাঁকে ‘ন্যাশনাল প্রফেসর বা জাতীয় অধ্যাপক’ আখ্যাও দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, এই কৃতি বিজ্ঞানী, ফিজিক্যাল সোসাইটি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সিটিউট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেছেন। রয়্যাল সোসাইটির ফেলোর পদও সামলেছেন প্রবাদপ্রতিম পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in