
গোটা দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যতই কোভিডিবিধি মেনে চলার জন্য সতর্ক করা হোক না কেন, মাস্ক না পরা, দূরত্ব বজায় না রাখার ক্ষেত্রে কেউই সচেতন নন। বরং বলা ভালো, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যত ঊর্ধ্বমুখী, মানুষের সচেতনতা ততটাই নিম্নমুখী। এরই মধ্যে নতুন সমীক্ষা রিপোর্টে চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষায় স্পষ্ট দেখানো হয়েছে, বাতাসেও নাকি করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এর ফলেই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা অতিমারি।
এই সমীক্ষা দলে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং কানাডার ৬ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মানুষ নিজেরা সচেতন না হলে, মাস্ক না পরলে বা সামাজিক দূরত্ব মেনে না চললে সংক্রমণ আটকানো প্রায় অসম্ভব। সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ সম্ভবত বায়ুবাহিত। গত বছর জুলাই মাসে এ-বিষয়ে কাজ শুরু করেন ৩২টি দেশের দু'শোর বেশি বিজ্ঞানী। তাঁরা হু'কে চিঠি লিখে জানান, করোনা বাতাসে সক্রিয় থাকতে পারে। ভাইরাসের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার মাধ্যমেও কেউ সংক্রমিত হতে পারেন।
আমেরিকার কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক জোস-লুইস জিমেনেজ জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির উচিত মানুষকে সচেতন করা। তাঁদের মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা, এতেই বাতাসে ভাইরাসের উপস্থিতি কমতে পারে। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বলা হয়েছে, যে কোনও সামাজিক জমায়েত, রাজনৈতিক জমায়েত, সামাজিক দূরত্ব না মানলে করোনাকে বাগে আনা অত্যন্ত মুশকিল। ঘরের বাইরের পরিস্থিতি অনেক বেশি খারাপ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন