ভারতে বাড়িতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের সাইবার হানায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা প্রবল

ভারতের প্রায় এক তৃতীয়াংশ (২৮.২২%) বাড়িতে ব্যবহারকৃত কম্পিউটারে সাইবার হানার সম্ভাবনা প্রবল। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অ্যাভাস্ট।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সংগৃহীত
Published on

ভারতের প্রায় এক তৃতীয়াংশ (২৮.২২%) বাড়িতে ব্যবহারকৃত কম্পিউটারে সাইবার হানার সম্ভাবনা প্রবল। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অ্যাভাস্ট।

অ্যাভাস্ট সম্প্রতি গ্লোবাল পিসি রিস্ক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যে রিপোর্ট অভিসারে বাড়িতে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাঁরা এমন সাইবার হানার সম্মুখীন হতে পারেন যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ইমেল স্ক্যানিং, ইউ আর এল ফিল্টারিং, এমুলেটরস, সিগনেচারস, হিউরিস্টিক্স প্রভৃতি চালু যে সমস্ত রক্ষাকবচ আছে এই হানায় সেগুলোও কাজ করবে না।

অ্যাভাস্ট জানিয়েছে, ভারতে বাড়িতে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই সাইবার হানার সম্ভাবনা সারা বিশ্বের তুলনায় ৫.৭৮ শতাংশ বেশি।

সারা বিশ্ব জুড়ে বাড়িতে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন ২৯.৩৯% ক্ষেত্রে তাঁদের কম্পিউটার সাইবার হানা আটকাতে সক্ষম। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। যদিও এই হানার সম্ভাবনা মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে অনেক বেশি।

ওই রিপোর্ট অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্ব জুড়েই সাইবার হানার আশংকা বেড়েছে। ভারতও তার বাইরে নয়। বিশেষত মহামারির সময় বহু মানুষ বেশি পরিমাণে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন বা কাজের প্রয়োজনে বেশি সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে, ভার্চুয়াল মিটিং-এর কারণে, অনলাইন ক্লাসের কারণে সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সময় বাড়ি থেকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়েছে। একথা জানিয়েছেন অ্যাভাস্ট থ্রেট ইন্টালিজেন্স-এর ডিরেক্টর মাইকেল সালাট।

যদিও রিপোর্ট অনুসারে সাইবার অপরাধীরা সমস্ত বিষয়ই নজরে রেখেছে। মাইকেল সালাট জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে গত ১৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা এক সমীক্ষার ভিত্তিতে। এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে অ্যাভাস্ট-এর থ্রেট ডিটেকশন নেটওয়ার্ক-এর মাধ্যমে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in