

১০ এপ্রিল: বিশ্ব উষ্ণায়ণের কারণে সমূহ বিপদে আন্টার্কটিকের এক তৃতীয়াংশ বরফের অংশ। আর ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেই এই অংশের বরফে গলে সমুদ্রে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
জিওলজিকাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আন্টার্কটিক উপদ্বীপের আইস শেল্ফের প্রায় ৬৭ শতাংশ-সহ প্রায় অর্ধেক মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বরফ, যা আন্টার্কটিকের মোট বরফের ৩৪ শতাংশ এলাকা বিশ্ব উষ্ণায়ণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সমীক্ষকদের মতে, ২০১৭ সালে এ-৬৮ হিমশৈল থেকে আলাদা হয়ে লারসেন সি নামক একটি আইস শেল্ফ উষ্ণায়ণের কারণে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের এললা গিলবার্ট বলেছেন, আইস শেলফগুলো সমুদ্রের মধ্যে হিমবাহের অবাধে প্রবাহিত হওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। তিনি আরও বলেন, যখন এই শেলফগুলো ভাঙতে থাকে তখন একটি বোতলের কর্ক ঠেলে সরিয়ে জল বেরিয়ে আসার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সমুদ্রের জলস্তরও বাড়তে থাকে।
গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, বাড়তে থাকা তাপমাত্রার মাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পারলে এই অঞ্চলটির ঝুঁকি অর্ধেক হয়ে যাবে। সমুদ্রের জলস্তর বাড়তে থাকাও আটকানো সম্ভব হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন