

হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দুটি নীল টিক ও একটি লাল টিক মানেই সরকার আপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। আর তিনটি লাল টিক মানেই সরকার আপনার বিরুদ্ধে মামলাও শুরু দিয়েছে! না এমন বার্তার কোনও সত্যতা নেই বলে জানিয়েছে পি আই বি।
গত বছর এই তিনটি লাল টিক-এর মতো মেসেজ ভাইরাল হয়েছিল। যদিও তার কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়ে দেয় হোয়াটসঅ্যাপ। গতকাল ২৬ মে নতুন ডিজিটাল আইন দেশে চালু হবার আগে থেকেই ফের এই জাতীয় একটি মেসেজ হোয়াটস অ্যাপে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। যে মেসেজ সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে জানিয়ে দিলো সংস্থা।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ নতুন কমিউনিকেশন রুল নিয়ে এসেছে বলে মেসেজে দাবি করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ফেসবুক। সরকারের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ।
তাদের অভিযোগ, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কেননা নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। বিঘ্নিত হবে গোপনীয়তা।
এদিকে ভাইরাল হওয়া মেসেজে উল্লেখ করা হয়, কোনও গ্রাহক যদি সরকারের বিরুদ্ধে বা কোনও ধর্মীয় বিষয়ে নেতিবাচক বার্তা ছড়ায় তাহলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারেন। ভুয়ো মেসেজে আরও বলা হয়, ব্যবহৃত হ্যান্ড সেটটি মন্ত্রকের সিস্টেমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। যদিও এসব মেসেজের কোনও ভিত্তি নেই বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ফেসবুক।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন