

অনলাইন গেমিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার দাবিতে দায়ের হওয়ার জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। বিচারপতি বিবেক রুশিয়া ও বিচারপতি অমরনাথ কেশর্ন্বীর ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন।
দেশে রমরমিয়ে বাড়ছে অনলাইন গেমের চাহিদা। আর সেইসব গেমের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শাহরুখ খানের মতো তারকারা। আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, কোহলি, ধোনি, শাহরুখের মতো ব্যক্তিত্বদের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত নয়। কারণ এটা তাঁদের পেশা। এছাড়াও মামলাকারীর গেম নিষিদ্ধ করার আবেদনও খারিজ করা হয়।
বিনোদ কুমার নামের এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, শাহরুখ খান, ধোনি, কোহলির মতো তারকারা যদি গেমিং অ্যাপের প্রচার করেন তাতে সমাজের ক্ষতি। ছোটো ছোটো বাচ্চাদের ওপর ক্ষতি করছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
কয়েকমাস আগে গুগল প্লে স্টোর একটি কর্মসূচি চালু করেছে। তাতে বলা হয়েছে যেসব অনলাইন গেমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায় সেগুলিকে আইনি বৈধতা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচি চলবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে অ্যাপ নির্মাতারা গুগল প্লে স্টোরে নিজেদের অ্যাপ নথিভুক্ত করার জন্য অবেদনপত্র জমা দিতে পারেন। বলা যেতে পারে এই গেমগুলি রামির মতো হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তামিলনাড়ুতে পূর্ববর্তী AIADMK সরকার, রামি ও পোকারের মতো অনলাইন বেটিং গেম নিষিদ্ধ করার জন্য গেমিং এবং পুলিশ (সংশোধনী) আইন প্রণয়ন করেছিল। তবে, এই আইন খারিজ করে দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
বর্তমান সরকার অনলাইন গেমিং এর প্রভাব খতিয়ে দেখতে বিচারপতি কে. চন্দ্রুর নেতৃত্বে একটি কমিটি নিযুক্ত করেছিল। সেই কমিটি রিপোর্টও পেশ করেছে। তবে, সরকার বিতর্কিত এই ইস্যুতে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন