

কোভিড পরিস্থিতিতে এবার বেশিক্ষণ কাজের সময়ের কারণে স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) -র একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার কারণে প্রতি বছর শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
কাজের সময় নিয়ে প্রথম গ্লোবাল স্টাডির পেপার এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালে লং ওয়ার্কিং আওয়ার্সের কারণে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে। ২০০০ সালে এর পরিমাণ বেড়ে ৩০ শতাংশ হয়। হু-র পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মারিয়া নাইরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে তা গুরুতর শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এই তথ্য বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সচেতনতা এনে কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।
হু ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) যৌথ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিক্ষণ কাজের ফলে শারীরিক অসুস্থতার শিকার হন মূলত (৭২শতাংশ) পুরুষ ও মধ্যবয়সীরা। দক্ষিণ এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত সাগরীয় প্রদেশ-যেমন চিন, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন লং ওয়ার্কিং আওয়ারের জন্য।
মোট ১৯৪টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
২০০০-২০১৬ সালের মধ্যে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে, যখন করোনা মহামারি ছিল না। হু-র তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে এই সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে উঠবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন