

রবিবার এক মজার অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। এদিন বেলায় কিছুক্ষণের জন্য পড়বে না কোনও ছায়া। এই ঘটনাকে 'জিরো শ্যাডো' বলে। অর্থাৎ আগামী ৫ জুন 'জিরো শ্যাডো ডে'-র সাক্ষী থাকবে কলকাতা ও শহরতলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
বেলা সাড়ে ১১টার সামান্য পরে এই কাণ্ডটা হবে। ১১টা ৩৪ মিনিটে এটা সুস্পষ্ট বোঝা যাবে।
কিন্তু এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী? 'জিরো শ্যাডো ডে' কী? জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, এটি এমন একটি দিন, যাতে সূর্যের রোদে দুপুরে কোন বস্তুর ছায়া পড়ে না। এই সময়ে সূর্য ঠিক শীর্ষ অবস্থানে থাকে। অর্থাৎ মাথার একেবারে উপরে চলে আসবে সূর্য। সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণের সময়ে কর্কটক্রান্তি রেখার দক্ষিণে এমনটা ঘটে। সূর্যের কৌণিক অবস্থানের কারণে ছায়া বস্তুর একেবারে নিচে চলে যায়। ফলে সেটা সেভাবে দেখা যায় না। এই সময়টাকে বলা হয় ‘জিরো শ্যাডো মোমেন্ট’ অর্থাৎ ছায়া শূন্য মুহূর্ত।
+২৩.৫ এবং -২৩.৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের (যথাক্রমে কর্কট ও মকরক্রান্তি রেখার) মধ্যে অবস্থিত জায়গাগুলিতে বছরে দু'বার ছায়া শূন্য দিবস হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের হিসাবে তারিখ পরিবর্তিত হয়। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের উপর দিয়ে কাল্পনিক কর্কট ক্রান্তি রেখা গিয়েছে। ৫ জুন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রথম জিরো শ্যাডো ডে এবং ৭ জুলাই ( দক্ষিণায়নের দিন) বেলা ১১.৪১-এ বছরের দ্বিতীয় জিরো শ্যাডো ডে হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন