শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী যুদ্ধবিমান পরিবহনে সক্ষম ভারতীয় জাহাজ আইএনএস বিক্রান্তের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই জাহাজ উদ্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁদের অভিযোগ মোদী নিজের কৃতিত্ব নিচ্ছেন। কিন্তু ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সমস্ত সরকারের প্রচেষ্টায় এই রণতরী তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস বিক্রান্তের উদ্বোধনের দিন মোদীকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইটারে লেখেন, ‘ভারতের প্রথম নিজস্ব বিমানবাহী জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সমস্ত সরকারের প্রচেষ্টা। সেটা কি নরেন্দ্র মোদী স্বীকার করবেন? এও জানা দরকার আসল আইএনএস বিক্রান্ত ১৯৭১ সালের যুদ্ধে আমাদের পরিষেবা দিয়েছিল। কৃষ্ণ মেনন ইউ কে থেকে বিক্রান্তকে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন’।
শুক্রবার সকালে নরেন্দ্র মোদী জাহাজটি উদ্বোধন করার সময় বলেন, এই জাহাজ সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। এর সাথে ভারত নিজস্ব পদ্ধতিতে বিমানবাহী জাহাজ তৈরির ক্লাবে ঢুকে গেল। এছাড়াও তিনি বলেন, আইএনএস বিক্রান্ত হল একটি ভাসমান বিমান ঘাঁটি, একটি ভাসমান শহর এবং যখন কেবলগুলি কাশী থেকে কোচি পর্যন্ত বিস্তার লাভ করবে তখন এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৫০০০ বাড়িকে আলোকিত করতে পারবে। এই জাহাজের ডেক দু’টি ফুটবল খেলার মাঠের সমান। ভারত যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হচ্ছে তা এটার জ্বলন্ত প্রমাণ।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকটি খুবই জরুরি। কিন্তু এর আগে সেইদিকে তেমন নজর দেওয়া হয়নি। ভারতীয় নৌ-সেনার পতাকা এতদিন দাসত্বের তকমা বহন করছিল। কিন্তু আজ থেকে সেই পতাকায় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের প্রতীক দেখা যাবে। ছত্রপতি শিবাজীর সিলমোহর থেকে নতুন প্রতীক নেওয়া হয়েছে। এর আকৃতি অষ্টভুজাকার। ভারতীয় নৌ বাহিনীকে আটটি দিক নির্দেশ করবে নতুন প্রতীক।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন