কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে আগামী ৫ বছরে ভারতে বিলুপ্ত হবে ২২% চাকরি!

WEF জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বে নতুন করে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ পদ তৈরি হবে। আর বিলুপ্ত হবে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ পদ। অর্থা‍ৎ, চাকরির সংখ্যা কমে যাবে ২৩ শতাংশ। এর কারণ মানুষের কাজগুলি যন্ত্রই করে দিতে পারবে।‘
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে আগামী ৫ বছরে ভারতে বিলুপ্ত হবে ২২% চাকরি!
প্রতীকী ছবি

আর্থিক মন্দা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপরে অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে আগামী পাঁচ বছরে ভারতে বিলুপ্ত হবে ২২ শতাংশ কর্ম পদ। সোমবার, এক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর পূর্বাভাস দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের কর্মসংস্থানের উপর। আগামীতে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে শ্রমবাজারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক - উভয় প্রভাবই পড়বে বলে নতুন করে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।

সোমবার, এক বিবৃতিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পরিচালন সমিতির প্রধান সাদিয়া জাহিদী জানান, ‘মহামারী করোনার কারণে গত তিন বছরে এমনিতেই ধাক্কা খেয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর যত দিন যাচ্ছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো প্রযুক্তির চাপে ক্রমেই কমেছে প্রযুক্তি শিল্পে নিয়োগ। একই সময়ে বাড়ছে, সাইবার সিকিওরিটি স্পেশালিস্টদের মতো প্রযুক্তিবিদদের চাহিদা। এই অবস্থায় আগামী ৫ বছরে বিশ্বের কর্মজগতে ঘটতে চলেছে বড় পরিবর্তন।’

এক রিপোর্টে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জানিয়েছে, ‘আগামী পাঁচ বছর বিশ্বের চাকরির বাজারে মন্থন (Churn) চলবে। যাতে কাজ হারাবেন বহু মানুষ। আবার নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। তবে, কাজ পাওয়ার থেকে কাজ হারানোর সংখ্যাই বেশি হবে।‘

‘ফিউচার অফ জবস’ রিপোর্টে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে অর্থা‍ৎ ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বে নতুন করে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ পদ তৈরি হবে। আর বিলুপ্ত হবে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ পদ। অর্থা‍ৎ, চাকরির সংখ্যা কমে যাবে ২৩ শতাংশ। এর কারণ মানুষের কাজগুলি যন্ত্রই করে দিতে পারবে।‘

বিশ্বজুড়ে মোট ৮০৩টি সংস্থার উপর সমীক্ষার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।

তবে গোটা বিশ্বের নিরিখে ভারতের অবস্থা খানিক আশাপ্রদ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতে ২২ শতাংশ চাকরি কমবে।

তবে মানুষের দক্ষতার উপর আস্থা রাখবেন ভারতের নিয়োগকারীরা। প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ও ডিজিটাল মাধ্যমে কর্মসংস্থান অনেকটাই বাড়বে। বিশেষত, এআই প্রযুক্তি, মেশিন বিশেষজ্ঞ, তথ্য বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়বে চাকরির বাজারে। এছাড়াও পরিবেশ ও সামাজিক ক্ষেত্রেও নিয়োগের সংখ্যা বাড়তে পারে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in