USA: ২০৫৩ সালের মধ্যে আমেরিকায় চরম উষ্ণতা! প্রভাবিত হবেন ১০ কোটি মানুষ - সমীক্ষা

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যাও বাড়ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০ লক্ষতে। প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ২০৫৩ সালের মধ্যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সৌজন্য সায়েন্স টেঁক ডেলি
Published on

২০৫৩ সালের মধ্যে আমেরিকার একটি অঞ্চলের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চরম উষ্ণতার শিকার হবেন। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে এক সমীক্ষায়। যা নিয়ে বেশ আতঙ্কে রয়েছেন মার্কিনিরা।

সম্প্রতি আমেরিকায় তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণা চালায় ফার্স্ট স্ট্রিট ফাউন্ডেশন। সেখানেই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। আমেরিকার একটি জায়গায় প্রতিবছর ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা পৌঁছায়। তাতে প্রভাবিত হয় লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যাও বাড়ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০ লক্ষতে। তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৫২ ডিগ্রিরও বেশি। প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ২০৫৩ সালের মধ্যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

সমীক্ষা অনুসারে, এই অঞ্চলটি মূলত উত্তর টেক্সাস ও লুসিয়ানা থেকে ইন্ডিয়ানা এবং উইসকন্সিন পর্যন্ত বিস্তৃত। গবেষণা সংস্থাটি সকলকে বোঝানোর জন্য উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার করে ২০১৪-২০২০ সালের ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রার পরিমাপ তুলে ধরে। এই সমীক্ষায় আরও একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। এই অঞ্চলে মাটির ওপর জল বেশীক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। মাটি দ্রুত সেই জল শোষণ করছে এবং সাথে বাষ্প হয়ে যাচ্ছে। সমীক্ষকদের মতে, আগামী দিনে এই ঘটনা আগামী দিনে তাপমাত্রা নিয়ে চরম অস্থিরতা সৃষ্টির ইঙ্গিত।

রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, স্থানীয় অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন ঐ স্থানের বাসিন্দারা। কারণ তাঁরা এই ধরণের আবহাওয়ায় সাধারণত অভ্যস্ত নন। সমীক্ষকরা আরও একটি উদাহরণ দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, টেক্সাসের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে যদি ১০ শতাংশ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে টেক্সাসের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহরগুলিতেও এর প্রভাব পড়বে।

চরম উষ্ণতার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে ফ্লোরিডার মিয়ামি-ডেড কাউন্টিতে। এখানে প্রতিবছর সাত দিন ধরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। ২০৫৩ সালের মধ্যে যা সাত দিনের বদলে ৩৪ দিন স্থায়ী হবার সম্ভাবনা। সাথে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হতে পারে বলেই জানাচ্ছে সমীক্ষা।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in